২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই রাশিয়ার উপর পশ্চিমি দেশগুলির একাধিক নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এসেছে। ফাইল চিত্র।
মেরেকেটে আর এক বছর। তার মধ্যেই ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কট নেমে আসবে রাশিয়ায়। অর্থনীতি সংক্রান্ত এক বৈঠকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রুশ শিল্পপতি ওলেগ ডেরিপাস্কা। বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়ায় ওই বৈঠক ছিল। সেখানেই এ কথা বলেছেন ওলেগ। ওলেগের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম তাস বলেছে, “আগামী বছরের মধ্যেই রাশিয়ার অর্থভান্ডার শূন্য হয়ে যাবে। আমাদের দেশের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।”
ওলেগ ঠিক তখনই এই দাবি করেছেন যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জোর গলায় দাবি করেছেন যে, পশ্চিমি দুনিয়ার একাধিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি চাঙ্গা। রুশ শিল্পপতি ওলেগের এই দাবির পর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা হলে কি পুতিনের সব দাবি ঠুনকো? আর্থিক সঙ্কট থেকে বাঁচাতে বন্ধু দেশগুলির বড় ভূমিকা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ওলেগ। রাশিয়ার এই পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ দায়ী বলেও দাবি করেছেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই রাশিয়ার উপর পশ্চিমি দেশগুলির একাধিক নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এসেছে। সাড়ে ১১ হাজার নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে রাশিয়ার উপর। শুধু তাই-ই নয়, রাশিয়ার বিদেশি অর্থভান্ডারের প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলার আটকে দেওয়া হয়েছে, যাতে আর্থিক চাপে পড়ে হামলা থেকে পিছিয়ে আসেন পুতিন। কিন্তু তার পরেও ইউক্রেনে হামলা জারি রেখেছেন তিনি।
রাশিয়ার সরকারি তথ্য বলছে, গত বছরে মোট আয় ২.১ শতাংশ কমেছে। সেখানে এ বছরের জানুয়ারিতে, গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় আয় কমেছে ৩৫ শতাংশ। আর খরচ একলাফে বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। ফলে বাজেটে ঘাটতি হয়েছে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ডলার। পশ্চিমি দুনিয়ার আরও নিষেধাজ্ঞা চাপতে পারে বলে মনে করছেন ওলেগ। আর সেটা পুতিন প্রশাসন আঁচ করতে পেরেই তেল উৎপাদনে কাটছাঁট করতে শুরু করে দিয়েছে তারা। ওলেগের মতে, রাশিয়ার অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এখন বেশির ভাগটাই ঝুলে রয়েছে ইউক্রেন নিয়ে পুতিন কী অবস্থান নেন, তার উপর।