গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়কে দ্বিধাবিভক্ত করতে চাইছেন। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ তুলেছে উত্তর আমেরিকার দেশগুলিতে বসবাসকারী শিখ ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ‘শিখস অফ আমেরিকা’। সংগঠনের প্রধান জেসি সিংহ বলেন, ‘‘কানাডায় বসবাসকারী শিখ মানেই খলিস্তানপন্থী নন। ট্রুডোকে অবশ্যই শিখদের বিভাজন ঘটনোর চেষ্টা থেকে বিরত হতে হবে।’’
জাসি বলেন, ভারতের বাইরে বসবাসকারী বেশিরভাগ শিখ খালিস্তানি মতাদর্শকে সমর্থন করে না। তাঁরা ভারতকে সমর্থন করেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছি।’’ সংখ্যালঘু সরকার চালানোর জন্যই দীর্ঘ দিন ধরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সরকার শিখ উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে নরম মনোভাব নিয়ে চলছে বলেও অভিযোগ করেন জেসি। তিনি বলেন, ‘‘ট্রুডো একটি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যে সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁকে সমর্থন নিতে হচ্ছে নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা জগমীত সিংহের।’’
প্রসঙ্গত, খলিস্তানি নেতাদের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত জগমীত। ট্রুডো সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনার পরেই জগমীত বিবৃতি দিয়ে নয়াদিল্লির ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি এবং সরকার টিকিয়ে রাখার বাধ্যবাধকতার জন্য ট্রুডোকে খলিস্তান প্রসঙ্গে চোখ বুজে থাকতে হয়েছে বরাবর। এই নিয়ে ভারতীয় কূটনৈতিকদের আবেদন, অনুরোধে তিনি কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।
চলতি মাসেই স্বাধীন ও সার্বভৌম খলিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে কানাডার কট্টরপন্থী শিখ গোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) অন্টারিও-সহ কয়েকটি এলাকায় জমায়েত এবং গণভোটের ডাক দিয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ এবং খলিস্তানপন্থী সংগঠন সাম্প্রতিক কালে কানাডার কয়েকটি ভারতীয় দূতাবাসে বিক্ষোভও দেখিয়েছে। কোনও ক্ষেত্রেই ট্রুডোর সরকার পদক্ষেপ করেনি। এই আবহে বুধবার ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ এলাকাগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের। ভারতীয় পড়ুয়াদের অবিলম্বে অটোয়ার ভারতীয় হাই কমিশন, টরন্টো এবং ভ্যাঙ্কুভারের কনস্যুলেট জেনারেলের দফতরে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সতর্কবার্তায়।