Police Investigation

বাইকের মডেলের সূত্রে কিনারা ছিনতাইয়ের, ধৃত তিন

ডিসি (এসইডি) ভোলানাথ পাণ্ডে জানান, ধৃতদের জেরা করে ছিনতাইয়ের নব্বই শতাংশ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোটরবাইকটি। আর কেউ ঘটনায় জড়িত কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০৯
Share:

ধৃতদের জেরা করে ছিনতাইয়ের নব্বই শতাংশ টাকা উদ্ধার হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

পুলিশের চোখে ধুলো দিতে মোটরবাইকের নম্বর বিকৃত করা হয়েছিল। সিসি ক্যামেরায় মোটরবাইক বোঝা গেলেও দুষ্কৃতীদের স্পষ্ট ছবি ছিল না তদন্তকারীদের কাছে। শুধু ভরসা ছিল মোটরবাইকের রং এবং নির্দিষ্ট মডেল নম্বর। সেই দুই সূত্র ধরেই একটি শপিং মলের কাছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ঘটনায় যুক্ত তিন জনকে। ধৃতদের নাম শামিম, শাহ আলম মোল্লা এবং বিকাশ কুমার। প্রথম দু’জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে। বিকাশের বাড়ি সার্ভে পার্কের সন্তোষপুরে। সে পোশাক বিপণির কর্মী। ডিসি (এসইডি) ভোলানাথ পাণ্ডে জানান, ধৃতদের জেরা করে ছিনতাইয়ের নব্বই শতাংশ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোটরবাইকটি। আর কেউ ঘটনায় জড়িত কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার দুপুর কড়েয়া থানা এলাকার ওই শপিং মলের ভিতরে থাকা একটি পোশাক বিপণি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নগদ সংগ্রহ করেছিলেন একটি সংস্থার ক্যাশ কালেক্টর কর্মীরা। বিপণি থেকে বেরিয়ে একটি ব্যাগে টাকা নিয়ে গাড়িতে রাখতে যাচ্ছিলেন বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী-সহ দু’জন। অভিযোগ, সেই সময়ে বাইকে চেপে এসে দু’জন ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

তদন্তে নেমে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়। দেখা যায়, বাইকটি পার্ক সার্কাস, ই এম বাইপাস ধরে রাজারহাটের দিকে চলে গিয়েছে। তবে বাইকের সামনে কোনও নম্বর প্লেট নেই। পিছনে যে নম্বরটি রয়েছে, সেটি বিকৃত। অভিযুক্ত দু’জনের ছবিও স্পষ্ট নয়। এক তদন্তকারী জানান, সিসি ক্যামেরা দেখে কোনও সূত্র না মেলায় নজর পড়ে মোটরবাইকটির বিশেষ মডেলের উপরে। যে হেতু দুষ্কৃতীরা রাজারহাটের দিকে গিয়েছে, তাই সেখানে ওই মডেলের মোটরবাইক কারা ব্যবহার করছে, তার খোঁজ শুরু হয়। এ জন্য বারাসত আরটিও-র সাহায্য নেওয়া হয়। দেখা যায় ওই মডেলের বাইক ব্যবহার করছেন, এক হাজারের কিছু বেশি সংখ্যক ব্যক্তি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মডেলের বাইক ব্যবহারীকারীদের খোঁজ নিয়েই শামিমের খোঁজ মেলে। শামিমকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করার পরেই শাহ আলমের সন্ধান মেলে। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, শপিং মলের ওই পোশাক বিপণির কর্মী বিকাশ তাদের ওই টাকার খোঁজ দিয়েছিল। এমনকি, তারা ঘটনার আগে রেকি করেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement