WB Forest Department

আয়ের পথ খুলতে নতুন উদ্যোগ, পশ্চিমবঙ্গে চন্দন গাছের চারা লাগাবে বন দফতর

বন দফতর একটি সমীক্ষা থেকে জেনেছে পশ্চিমবঙ্গে কোথাও চন্দন গাছের জঙ্গল নেই। তাই আয়ের নতুন পথ খুলতে রাজ্যের জঙ্গলগুলিতে চন্দন গাছের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১৯
Share:

রাজ্যের বিভিন্ন জঙ্গলে প্রায় ৯০ লক্ষ চন্দন গাছের চারা রোপণের পরিকল্পনা নিয়েছে বন দফতর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয় বাড়াতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে বন দফতর। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যের বনাঞ্চলে কয়েক লক্ষ চন্দন গাছের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জঙ্গলে প্রায় ৯০ লক্ষ চন্দন গাছের চারা রোপণের পরিকল্পনা নিয়েছে বন দফতর। আগামী জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে চন্দনের চারা এনে তা বিলির প্রক্রিয়া। লাল, হলুদ ও শ্বেতচন্দনের চারা দেওয়া হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলে শাল, পিয়াল, সেগুন, মেহগনি-সহ নানা মহার্ঘ্য গাছের সমাহার রয়েছে। বনের সেই সব গাছের কাঠ বিক্রি করে বছরের বিভিন্ন সময় ভাল আয় হয় রাজ্য সরকারের। সূত্রের খবর, বন দফতর একটি সমীক্ষা থেকে জেনেছে পশ্চিমবঙ্গে কোথাও চন্দন গাছের জঙ্গল নেই। তাই আয়ের নতুন পথ খুলতে রাজ্যের জঙ্গলগুলিতে চন্দন গাছের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রতি বছর বন মহোৎসবে গড়ে ২ কোটি গাছ বিলি করা হয়। সঠিক যত্নের অভাবে অনেক গাছ মারা যায়। কিন্তু চন্দনের মতো অর্থকরী গাছ পেলে সকলে ওই গাছের প্রতি অনেক যত্নবান হবেন। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে ১০ থেকে ১৫ বছর পর গাছ বিক্রি করে তাঁরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। সঙ্গে রাজ্য সরকারের আয়ের অঙ্কও বাড়বে কয়েক গুণ।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে একরের পর একর এলাকাজুড়ে রয়েছে চন্দন গাছের বন। সেই চন্দন গাছ থেকে ওই রাজ্যগুলির আয়ও হয় বিস্তর। তাই সেই একই রকম বনাঞ্চল পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করতে চায় রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement