শিলদার গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন ঝাড়গ্রামের শিলদার কুরচিবনি এবং মালাবতী গ্রামের বাসিন্দারা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে সেই গ্রামে পৌঁছে গেলেন সরকারি আধিকারিকরা। বুধবার ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতা ফেরার পথে হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে সভা শেষ করে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মমতা। ফেরার পথে তিনি গিয়েছিলেন শিলদার কুরচিবনি গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা শোনান। গ্রামবাসীদের আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার কলকাতা ফেরার জন্য ঝাড়গ্রাম হেলিপ্যাডে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, বুধবার সকালেই কুরচিবনি এবং মালাবতী গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। তিনি বলেন, ‘‘জল আজকেই পেয়ে যাবে। সব বলে দিয়েছি।’’ জেলাশাসক এবং পুলিশসুপারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
গ্রামবাসীদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। এ নিয়ে মমতা কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ঘর, ১০০ দিনের কাজ, রাস্তার তহবিল আটকে রেখেছে। অথচ জিএসটি নিয়ে যাচ্ছে। কেন আটকায়? ওরা বলল একটাই কর হবে দেশে। আমরা তাতে সায় দিলাম। আগে আমরা আলাদা কর নিতাম। এখন সব কর কেন্দ্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য থেকে। প্রাপ্য টাকা কেন আটকাচ্ছ? প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার তো অধিকার নেই।’’ বিজেপিকে বিঁধে মমতার বক্তব্য, ‘‘এরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। কুকথা বলা নিয়ে ব্যস্ত। উন্নয়নে এদের নজর নেই।’’
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে কি আন্দোলনে নামবে তৃণমূল? তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘আন্দোলন ওই ভাবে তৈরি হয় না। নজরে রাখার জন্য একটা সময় দিতে হয়। এক বছর আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। আমার দু’টি প্রতিনিধি দল গিয়ে দেখা করেছে। আমার মন্ত্রী গিয়ে দেখা করেছেন। আমি শুধু দেখছি।’’ বিজেপির মাটিতে চোখ নেই। ওরা আকাশপানে তাকিয়ে রয়েছে বলেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি।