আগুন জ্বলছে অযোধ্যার জঙ্গলে। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগে আগুন লেগেছিল শুশুনিয়া পাহাড়ে। তা নিভতেই এ বার আগুন লেগেছে পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোট, বড়ন্তি,অযোধ্যা পাহাড় এবং বান্দোয়ানের বেশ জঙ্গলে। অনেকের মতে, চোরাশিকারিরাই এই আগুন লাগিয়েছে। আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর।
গত কয়েক দিন ধরে আগুন জ্বলছে গড় পঞ্চকোটে। কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের অধীনে থাকা গড় পঞ্চকোটের জঙ্গল সংরক্ষিত বনাঞ্চল। সেই এলাকায় তিন দিন ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের মুখ্য বনপাল (দক্ষিণ-পশ্চিম চক্র) মনসারঞ্জন ভট্টের কথায়, ‘‘আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আমরা আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’ আগুন সাঁতুড়ির মুরাড্ডি পাহাড় এবং বান্দোয়ানের জঙ্গলেও লেগেছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা।
কয়েক দিন আগুন জ্বলতে থাকায় বহু গাছপালা পুড়ে গিয়েছে। গড়পঞ্চকোটে জঙ্গলে বিভিন্ন রকমের গাছের পাশাপাশি রয়েছে রক পাইথন, সজারু, হায়না, খেঁকশিয়াল, খরগোশ-সহ বিভিন্ন প্রাণী। আগুনের জেরে সেই বন্যপ্রাণ বিপন্ন বলেই মন করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁরা ক্ষুব্ধ বন দফতরের ভূমিকায়। গত বছরও এই পাহাড়ের জঙ্গলে আগুন লেগেছিল। সেই সময় আগুন নেভাতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগেছিল। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার এই পাহাড়ের প্রায় ৫০ হেক্টর জঙ্গলে জুড়ে আগুন জ্বলছে।
অনেকের মতে, চোরাশিকারিরা আগুন জ্বালিয়েছে। আবার কারণও মতে, মহুয়া সংগ্রহের জন্য ঝরা পাতা সাফ করার জন্য যে আগুন লাগানো হয়েছিল তা ছড়িয়ে পড়েছে। জ্বলন্ত বিড়ি-সিগারেটের টুকরো থেকেও আগুন ছড়িয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গত বার এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরেও কেন এ বার নজরদারি শুরু হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশপ্রেমীরা।