হাসপাতাল চত্বরে ফুলের তোড়া দিয়ে মন্দিরা পালকে অভিনন্দন জানান তৃণমূল বিধায়ক আলোক মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন একসঙ্গে জোড়া টিকা পাওয়া বাঁকুড়ার এক বধূ। তবে ওই বধূকে জোড়া টিকা দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কর্তব্যে গাফিলাতির অভিযোগে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাজমাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা মন্দিরা পালকে হাসপাতাল চত্বরেই ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান তৃণমূল বিধায়ক আলোক মুখোপাধ্যায়। প্রয়োজনীয় ওষুধ-সহ পুষ্টিকর খাবার, পানীয়ও কিনে দেওয়া হয় তাঁকে। আলোক বলেন, ‘‘মন্দিরা পাল এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাঁকে কিছু ওষুধ ও খাবার কিনে দিয়েছি। ভবিষ্যতেও ওই পরিবারের পাশে থাকব।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বড়জোড়া ব্লকের পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিতে যান মন্দিরা। অভিযোগ, সেখানে মাত্র মিনিট দশেকের ব্যবধানে তাঁকে কোভিশিল্ডের দু’টি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। দু’টি টিকার মধ্যে ৩ মাসের ব্যবধান রাখার কথা না জানায় প্রতিবাদ করেননি মন্দিরা। তবে অন্যদের একটি করে ইঞ্জেকশন দিতে দেখে জোড়া টিকা দেওয়ার কথা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জানান তিনি। মন্দিরাকে ঘণ্টাখানেক পর্যবেক্ষণের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও শুক্রবার রাতের দিকে তাঁর হালকা জ্বর-সহ বমি বমি ভাব ও মাথাঘোরার মতো উপসর্গও দেখা দেয় বলে অভিযোগ। শনিবার ভোরে তাঁকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় রবিবার সকালে মন্দিরাকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা। মন্দিরা বলেন, “শুক্রবার রাতে শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়েছিল। তবে শনিবার ভোর থেকেই খুব অসুস্থ বোধ করছিলাম। প্রথমটায় বেশ ভয় পেয়েছিলাম। হাসপাতালে দেখানোর পর ধীরে ধীরে উপসর্গগুলি কেটে যায়। এখন ভাল আছি।’’
মন্দিরাকে জোড়া টিকা দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে রিপোর্টে জোড়া টিকা দেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামলকুমার সোরেন বলেন, “ওই মহিলাকে ভুলবশত কোভিশিল্ডের পর পর দু’টি টিকা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আশাকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি। ওই কর্মীকে আপাতত টিকাকরণ কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’’