বন্ধ ব্যবসা নিজস্ব চিত্র।
করোনার কোপে বন্ধ তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা। বাঁকে করে জল নিয়ে গিয়ে শিবের মাথায় ঢালতে পারবেন না ভক্তরা। এক মাস ধরে এই মেলা উপলক্ষে ভালই ব্যবসা হয় দোকানিদের। কিন্তু এ বার ব্যবসা প্রায় বন্ধ। ফলে ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।
শ্রাবণী মেলার সময় বৈদ্যবাটির নিমাই তীর্থ ঘাট-সহ আরও কয়েকটি ঘাট থেকে জল নেন ভক্তরা। তার পর প্রায় ৪০ কিলোমিটার পেয়ে হেঁটে শিবের মাথায় জল ঢালেন তাঁরা। কিন্তু এ বার ঘাটগুলিতে ভক্ত সমাগম নেই। হাজার হাজার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা নির্ভর করে থাকে এই মেলার উপরেই। বাঁক, কলসি, ঘট, গেঞ্জি, কাপড়-সহ প্রায় ২৫ রকমের জিনিস কেনেন জলযাত্রীরা। শেওড়াফুলি থেকে বৈদ্যবাটি পর্যন্ত রাস্তার ধারে প্রচুর স্থায়ী দোকান রয়েছে। তাঁদের সারা বছরের আয় হয় এই সময়ই। কিন্তু এ বার সব কিছুই বন্ধ।
করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় অনেক ব্যবসায়ী প্রচুর টাকার বাঁক, ঘট তুলেছিলেন। কিন্তু মেলা বন্ধ হওয়ায় তাঁরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। অনেকে আবার নিজেরা দোকানে ঘট বানান। তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। এই প্রসঙ্গে বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রশাসন অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘‘গত বছরও মেলা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছিল। আসলে শ্রাবণী মেলায় জলযাত্রীরা যা কেনাকেটা করে তা দিয়েই ব্যবসায়ীদের সারা বছর চলে। কিন্তু করোনার সংক্রমণের বিষয়টাও বুঝতে হবে। কিছুটা অসুবিধা সবারই হচ্ছে। কিন্তু সেটা মানিয়ে নিতে হবে।’’