বিস্ফোরণের পরেও রামপুরহাটের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে মজুত থাকা বোমা ফেটে গুরুতর জখম হলেন রামপুরহাটের এক মহিলা। অভিযোগ, ওই বাড়ির মালিক তথা মহিলার বাবা বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিলেন। মঙ্গলবার বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার ওই জখম মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় শাসকদলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তাদের দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতেই এমন করেছে তৃণমূল। যদিও এ নিয়ে শাসকদলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই বাড়ির মালিক। এই কাণ্ডে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে পাইকর থানার পঞ্চহর গ্রামের বাসিন্দা ইজরাইল শেখের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। এলাকায় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত তিনি। ঘরের কাজ করার সময় বোমা ফেটে জখম হয়েছেন ইজরাইলের মেয়ে আশিয়া খাতুন। তাঁকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাইকর থানার পুলিশ। বিস্ফোরণের পরেও ইজরাইলের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনার কোনও অভিযোগ দায়ের করা না হলেও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হাসপাতালে যাওয়ার পথে আশিয়া বলেন, ‘‘দুপুরে ঘরে একাই ছিলাম ছিলাম আমি। ঘরের কাজ করার সময় দেখিনি যে বাড়িতে বোমা রয়েছে।’’
বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি প্ৰিয়তোষ মণ্ডলের কথায়, ‘‘যাঁর বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, তিনি তৃণমূলকর্মী। এই এলাকা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। সে কারণেই বোমা মজুত করে রেখেছিলেন তিনি। যাতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা দখল করতে না পারে বিজেপি।’’ যদিও গোটা কাণ্ডে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।