Death

নিখোঁজ যুবকের দেহ মিলল পুকুরে, প্রতিবাদে স্থানীয় তরুণীর বাড়ি ভাঙচুর, অবরোধ বাঁকুড়ার গ্রামে

চার দিন ধরে নিখোঁজ যুবকের দেহ মিলল বাড়ির পাশের একটি পুকুরে। এই ঘটনা ঘিরে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার মার্খা গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩৪
Share:

সুমন দে। — নিজস্ব চিত্র।

চার দিন ধরে নিখোঁজ যুবকের দেহ মিলল বাড়ির পাশের একটি পুকুরে। এই ঘটনা ঘিরে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার মার্খা গ্রামে। মৃত যুবকের নাম সুমন দে (২২)। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সুমনকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

সুমনকে খোঁজার ব্যাপারে টালবাহানা করেছে পুলিশ, এই অভিযোগ তুলে শনিবার দীর্ঘ ক্ষণ বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখে মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পাশাপাশি, ভাঙচুর চালানো হয় এক তরুণীর বাড়িতেও। সুমনের পরিবারের দাবি, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুমনের। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ নভেম্বর রাতে মার্খার বাসিন্দা সুমন খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ি লাগোয়া পোলট্রি ফার্মে শুতে গিয়েছিলেন। পর দিন সকালে পরিবারের লোকজন দেখতে পান, ফার্মের দরজা খোলা। কিন্তু সুমন নেই। এর পর, আশপাশের এলাকায় সন্ধান চালিয়েও সুমনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে বেলিয়াতোড় থানার দ্বারস্থ হয় সুমনের পরিবার। শনিবার বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ মার্খা গ্রামে গিয়ে সুমনের বাড়ি থেকে মাত্র দেড়শো মিটার দূরে একটি পুকুরের জল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

— নিজস্ব চিত্র।

এর পর উত্তেজিত জনতা মার্খা মোড়ের কাছে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। তবে ক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয় মার্খা গ্রামেরই এক তরুণীর বাড়িতে। তাঁর বাড়ি, গাড়ি, বাইক এবং দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত সুমনের বাবা সঞ্জীব দের অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। গ্রামেরই একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমাদের সন্দেহ এই খুনের পিছনে সেই মেয়ের পরিবার।’’

ওই তরুণীর মা অবশ্য তাঁর মেয়ের সঙ্গে সুমনের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘ঘটনার দিন আমরা বাড়িতে ছিলাম না। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমরা বাইরে গিয়েছিলাম। ঘটনার কথা আমরা কিছু জানি না। আজ আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে সমস্ত কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

যদিও টালবাহানার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘এ নিয়ে জেনারেল ডায়েরি হওয়ার পর থেকেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্তে কোনও টালবাহানা হয়নি। আজ পুলিশই মৃতদেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে। যুবকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ইতিমধ্যেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।’’

এলাকায় উত্তেজনা কমাতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement