করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর। —ফাইল চিত্র।
ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বড় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৩০ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রেল। আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন যাত্রী। শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনার পর টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’’ তিনি জানান, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন। কী পরিস্থিতি, তার খোঁজখবর রাখছেন। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
করমণ্ডল দুর্ঘটনায় টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি লেখেন, ‘‘ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অন্যান্য দলও উদ্ধারকাজে যোগ দিতে ছুটে গিয়েছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’
ইতিমধ্যে এ দুর্ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় বাংলা থেকে ওড়িশায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার। ওড়িশা সরকার এবং রেলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন নিজেও। করমণ্ডলের যাত্রী এবং পরিজনদের সাহায্যের জন্য চালু হয়েছে ০৩৩-২২১৪৩৫২৬/২২৫৩৫১৮৫ নম্বর।
শুক্রবার দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সওয়া ৫টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছয় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি। স্থানীয় সূত্রের খবর, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িতে। এর ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্রথম তিনটি কামরা বাদে সবক’টি কামরাই লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে গিয়েছে।
এই ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার সমস্ত ট্রেন বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওড়িশাগামী ট্রেনও বাতিল। এর ফলে যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আপ জগন্নাথ এক্সপ্রেস, আপ পুরী এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, চেন্নাই মেল।