করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —প্রতীকী চিত্র।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় বাংলা থেকে ওড়িশায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ওড়িশা সরকার এবং রেলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। এ কথা নিজেই টুইট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার রাতে মমতা টুইটে লেখেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বালেশ্বরের কাছে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাত্রিবাহী শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। আমাদের কয়েক জন মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন। আমরা আমাদের রাজ্যের যাত্রীদের জন্য ওড়িশা সরকার এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, ০৩৩-২২১৪৩৫২৬/২২৫৩৫১৮৫ নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করা যাবে। যাত্রীদের উদ্ধার, পুনরুদ্ধার, সাহায্য এবং সহায়তার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ওই টুইটে আরও জানিয়েছেন, ওড়িশা সরকার এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে এবং উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য ঘটনাস্থলে ৫-৬ সদস্যের একটি দল পাঠানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ রাখছেন।
এ ছাড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় খবরাখবরের জন্য হাওড়া স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ০৩৩-২৬৩৮২২১৭। খড়্গপুর স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯। বালেশ্বর স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ এবং ৭৯৭৮৪১৮৩২২। শালিমার স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ৯৯০৩৩৭০৭৪৬।
এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। আহত হয়েছেন ১৭০ জন যাত্রী। রাত ৯টা পর্যন্ত যাত্রী উদ্ধারের যে সংখ্যা মিলেছে, তার ভিত্তিতে এই তথ্য দিয়েছে রেল।