পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন এ বারও মঞ্জুর হল না। ফাইল চিত্র।
টানা ৪২ দিন বাড়ির বাইরে। তার মধ্যে গত ২৬ দিন জেলের কুঠুরিতে বন্দি থেকেই কেটেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার সেই পার্থ আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতকে বললেন, দরকারে বাড়িতেই বন্দি হয়ে থাকবেন তিনি, কিন্তু তিনি যেকোনও মূল্যে জামিন চাইছেন।
বুধবার পার্থ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল শুনানি হয় আদালতে। শুনানিতে অর্পিতার আইনজীবীরা জামিন না চাইলেও পার্থের জন্য জামিন চান আইনজীবীরা। আদালতকে পার্থের হয়ে তাঁরা বলেন, ‘‘পার্থ অসুস্থ। তিনি আর প্রভাবশালী নন। কোনও পদেও নেই। তা ছাড়া তাঁর বাড়ি থেকেও কিছু পাওয়া যায়নি। তাঁর জামিন পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।’’ কিন্তু পার্থের আইনজীবীদের এই যুক্তির পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, আরও ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ১০০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে আতশকাচের তলায়। সুতরাং পার্থকে জামিন দেওয়া যাবে না। আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে পার্থের আবেদন, তিনি যে কোনও মূল্যে জামিন চাইছেন। তিনি অসুস্থ। দরকারে তাঁকে বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখা হোক। তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন। দরকারে বাড়িতে তাঁকে রেখে সেই চিকিৎসা করা হোক।
জামিন চেয়ে পার্থের তরফে আরও বলা হয়, ‘‘যে ফার্ম হাউসের কথা বলা হচ্ছে, তাতে আমার নামে কিছু নেই। অছি হিসাবে আমার কোনও পরিবারের সদস্যেরও নাম নেই। পরিবারের সদস্য বলতে এক জনই। তিনি বিবাহিত এবং আমেরিকায় থাকেন।’’
পার্থের কাছ থেকে ‘কিছু পাওয়া যায়নি’ বলে যে যুক্তি তাঁর আইনজীবীরা দিয়েছিলেন, তারও বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থা এবং সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই সব সম্পত্তি ভুয়ো সংস্থার নামে কেনা হয়েছে। সিম্বায়োসিস নামে সংস্থারটির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বাজারে শেয়ার ছেড়ে। সেই শেয়ার ২.৭ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলেও ইডির আইনজীবীর দাবি। প্রসঙ্গত, পার্থের জামিনের আবেদনের পর আদালতকে সিম্বায়োসিস নামে একটি সংস্থার কথা জানায় ইডি। ‘অপা ইউটিলিটি’ নামের সংস্থাটির জন্য জমি কিনতেও ভুয়ো সংস্থার নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি।