টিভিতে ভারতের খেলা দেখার খরচ বাড়বে সমর্থকদের। —ফাইল চিত্র
টিভি এবং মোবাইলে ক্রিকেট দেখার জন্য একের পর এক চ্যানেল এবং ওটিটি বেড়েই চলেছে। এত দিন ডিজনি স্টার এবং সোনি ছিল। তারা এখনও রয়েছে। টিভিতে স্টার স্পোর্টসের বিভিন্ন চ্যানেলে খেলা দেখা যায়। সোনির বিভিন্ন চ্যানেলেও বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মাদের খেলা দেখা যায়। মোবাইলে ক্রিকেট দেখার জন্য থাকতে হয় হটস্টার এবং সোনি লিভ অ্যাপ। পরের বছর আইপিএল দেখার জন্য প্রয়োজন হবে ভুট। এ বার খেলা দেখানোর সেই তালিকায় যোগ হল জি। ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত জি-তে দেখা যাবে ছেলেদের আইসিসি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
আইসিসির থেকে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের সম্প্রচারস্বত্ব কিনেছিল ডিজনি স্টার। তারাই ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ছেলেদের আইসিসি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দেখানোর সম্প্রচারস্বত্ব দিয়ে দিল জি-কে। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০২৪ এবং ২০২৬ সালের), ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ টিভিতে দেখার জন্য থাকতে হবে জি। এখনও জি-এর তরফে জানানো হয়নি কোন চ্যানেলে খেলাগুলি দেখানো হবে।
ডিজনি স্টারের হাতে রয়েছে ভারতের আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট দেখানোর স্বত্ব। ২০২৩ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের সিরিজ দেখানোর দায়িত্বও তাদের হাতে। সেই সঙ্গে রয়েছে টিভিতে আইপিএল দেখানোর অধিকারও। মোবাইলে যদিও আইপিএল দেখার জন্য থাকতে হবে ভুট। সোনি দেখাবে ইংল্যান্ডে হওয়া ভারতের সিরিজগুলি। এইচডি চ্যানেলগুলি বাদ দিয়ে খেলার সব চ্যানেল নিতে হলে খরচ হবে ১৪৩.৯৬ টাকা। স্পোর্টস১৮ চ্যানেলটির দাম এই তালিকায় ধরা হয়নি। সেই চ্যানেলের দাম ৮ টাকা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এখনও সব জায়গায় এই চ্যানেলটি পাওয়া যাচ্ছে না।
সেই তালিকায় এ বার জি এসে যাওয়ায় ক্রিকেটপ্রেমি দর্শকদের পকেট আরও খানিকটা খালি হবে। এত দিন স্টার, সোনি, স্পোর্টস১৮-এর মতো চ্যানেলগুলি থাকলেই হত। ২০২৪ সাল থেকে প্রয়োজন হবে জি-ও। জি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও পুনিত গোয়েঙ্কা বলেন, “প্রথম বার এমন চুক্তি হল। ভারতের ক্রীড়া ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। ২০২৭ সাল পর্যন্ত দর্শকদের অন্য রকমের অভিজ্ঞতা দিতে চাই আমরা।”
গত সপ্তাহে আইসিসির সম্প্রচারস্বত্ব কিনে নেয় স্টার। ডিজনি স্টারের প্রেসিডেন্ট বলেন, “বহু বছর ধরে স্টার ভারতে ক্রিকেট সম্প্রচার করছে। সারা ভারতে বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাছে আমরা ক্রিকেটকে পৌঁছে দিয়েছি। ভারতের সেরা সম্প্রচারকারী সংস্থা হিসাবে ক্রিকেটকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ আমরা করে যাব। টিভি এবং ডিজিটাল দু’জায়গাতেই।”