USA-China Relation

চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে ফোন ট্রাম্পের, আলোচনায় বিশ্বশান্তি, ‘টিকটক’ নিয়েও কথা দুই নেতার

জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি সমাজমাধ্যমে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। এই ফোনালাপকে দু’দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি বলে ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৬
Share:

(বাঁ দিকে) ডোনান্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

তাঁর জমানায় চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে আমেরিকা এবং চিন একসঙ্গে কাজ করবে! শুক্রবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তা জানান ট্রাম্প। তিনি জানান, বিশ্ব শান্তি, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। শুধু তা-ই নয়, কথা হয়েছে সমাজমাধ্যম ‘টিকটক’ নিয়েও।

Advertisement

জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি সমাজমাধ্যমে জানান ট্রাম্প নিজেই। এই ফোনালাপকে দু’দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি বলে ব্যাখ্যা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বিশ্বাস আমরা (আমেরিকা এবং চিন) একসঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান করব। দু’দেশের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য, ফেন্টানাইল, টিকটক এবং অন্যান্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’’ তার পরই ট্রাম্প লেখেন, ‘‘বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ করে তোলার জন্য আমরা যথাযথ চেষ্টা করব।’’

আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে হাজির থাকার জন্য জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু চিন সরকারের তরফে জানানো হয় ওয়াশিংটনে যেতে পারবেন না জিনপিং। তবে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংকে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে।

Advertisement

গত ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। ফল প্রকাশের পরে চিনা বিদেশ দফতরের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলবে চিন।’’

ঘটনাচক্রে, এ বার গোটা নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প একাধিক বার খোঁচা দিয়েছেন চিনকে। ট্রাম্প শিবির বার বার দাবি করেছে, দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকাকে ‘পুঁজি করে’ বেজিং নিজেদের ভাঁড়ার ভর্তি করেছে। তাদের বক্তব্য, আমেরিকায় উৎপাদন ক্ষেত্র ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়েছে, তখন এই ক্ষেত্রে নিজেদের সমৃদ্ধ করে গিয়েছে চিন। বস্তুত, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রথম ইনিংসেও আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের দাপাদাপি রুখতে ‘অতিরিক্ত শুল্ক’ (অ্যান্টি ডাম্পিং) ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ হয়েছিল। তা ছাড়া বাইডেনের জমানায় তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-চিনের সংঘাত ট্রাম্পের আমলে নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সেই আবহে ট্রাম্প এবং জিনপিংয়ের নতুন সমীকরণ, খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত অনেকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement