শোকার্ত মিঠুন রায়ের পরিজনরা। —নিজস্ব চিত্র
জমি বিবাদের বলি হলেন পুলিশকর্মী। কুপিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। মৃত পুলিশকর্মীর নাম মিঠুন রায় (৩২)। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার-১ ব্লকের চিলকির হাট পান্তাবাড়ি এলাকায়। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানারা পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
মিঠুনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পান্তাবাড়ি ঘাগের কুঠি এলাকায় ৯ বিঘা জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল তাঁদের। সেই বিবাদ মামলা পর্যন্ত গড়ায়। সম্প্রতি মামলায় তাঁদের পক্ষে রায় ঘোষণা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে খবর, রবিবার মিঠুন ও তাঁর আত্মীয়-পরিজনরা সেই জমিতে থাকা পুকুরে মাছ ধরতে যান। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সুকমন্ত রায়, হেমন্ত রায়, সুবোধ রায়, এবং শরৎচন্দ্র রায়-সহ ১০-১২ জন তাঁদের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় মিঠুনকে। রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরে পড়ে যান মিঠুন। মিঠুনের পরিজনরা তাঁকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিঠুন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল। তিনি আলিপুরদুয়ারে কর্মরত ছিলেন। তাঁর দিদি প্রতিমা রায় বলেন, ‘‘সুকমন্ত রায় একজন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী এর আগেও তার ভাইকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেই মাঝেমধ্যেই আমাদের হুমকি দিতেন।’’
চিলকির হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা প্রকাশ বর্মন বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সুকমন্ত রায় তৃণমূল কর্মী হলেও জমি বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশি সভায় বসা হয়েছিল। সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। উভয় পক্ষকেই বলা হয়েছিল সেই জমিতে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু আজ মিঠুন রায় সেই জলাশয়ে মাছ ধরতে যান। সেই সময়ই এই ঘটনা।’’