Death

সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মালদহের গ্রামে, মহিলা সহকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর

সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মালদহের চাঁচলের খরবার গোপালপুর এলাকায়, একটি আমবাগান থেকে। আর এই ঘটনা ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:০৫
Share:

সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য। প্রতীকী চিত্র।

এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল মালদহের চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকায়, একটি আমবাগান থেকে। আর এই ঘটনা ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। তিনি খুনের অভিযোগ তুলেছেন স্বামীর এক মহিলা সহকর্মীর দিকে। পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্ত মহিলাকে। তদন্তকারীদের ধারণা, এই ঘটনা ঘটেছে ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে।

Advertisement

মৃত যুবকের নাম মনজির ঔরঙ্গজেব (৩৪)৷ তিনি চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুরের বাসিন্দা৷ তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পেয়েছিলেন মনজির৷ চাঁচল থানায় কাজ করতেন তিনি৷ দুই পুত্রসন্তানও রয়েছে তাঁর৷ বৃহস্পতিবার সকালে মনজিরের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি আমবাগানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি সূত্রে মনজিরের সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় হয় খরবা ফাঁড়ির অধীনেই কর্মরত ফিরদৌসি খাতুন ওরফে লিলি নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন প্রায় একসঙ্গেই৷ লিলির বাড়ি ওই এলাকার কালীগঞ্জ গ্রামে৷ তিনিও বিবাহিত৷ সন্তান রয়েছে তাঁরও। কিন্তু কয়েক দিন আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর৷ জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে মনজিরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু কিছু দিন ধরে লিলিকে এড়িয়ে চলছিলেন মনজির। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, পরিবারের কথা ভেবে লিলির থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন মনজির৷ তাঁর স্ত্রী রুমি খাতুনের দাবি, ‘‘ওর সঙ্গে আমার স্বামীর ভালবাসা ছিল কি না জানি না।’’ তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘‘লিলি গতকাল রাতে কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল আমাদের বাড়িতে। ওরা খোঁজ করছিল আমার স্বামীর। ওকে না পেয়ে খুন করার হুমকি দিয়ে যায় রাতেই। মারধর করে আমাকেও। ওরাই গলা টিপে খুন করেছে আমার স্বামীকে। ফিরদৌসি খাতুনই খুনি। ফাঁসি চাই ওর।’’

Advertisement

মনজিরের কাকা বাঁটুল হকের কথায়, ‘‘মনজিরের গলায় অনেক আঘাতের চিহ্ন আছে। তাই মনে হচ্ছে এটা খুন। ওদের বাড়িতে কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে হুমকি দিয়েছিল ফিরদৌসি। প্রেম-ভালবাসা থাকলে এ ভাবে হুমকি দিতে পারত না। কী রহস্য আছে তা পুলিশই বলতে পারবে।’’ পুলিশ আটক করেছে ফিরদৌসিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement