সোমবার ভোরে শেয়ালের দলকে ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কালীতলা গ্রামে বেশ কয়েক জন বাসিন্দা। —নিজস্ব চিত্র।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই দল বেঁধে হামলা চালাল এক দল শেয়াল। সোমবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ৫ জন গ্রামবাসী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হামলার পর এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে বন দফতর।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা এলাকার কালীতলা গ্রামে হানা দেয় এক দল শেয়াল। সে সময়ে নিত্যদিনের নানা কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। শেয়ালের দলকে ঠেকাতে গিয়ে ৫ জন গুরুতর আহত হন। হামলার খবরে আতঙ্কিত হলেও লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এর পর শেয়ালের দলটিকে গ্রামের বাইরে পাঠিয়ে দেন তাঁরা। হামলায় জখম বিশু রাম বলেন, ‘‘সকালবেলায় বাবার সঙ্গে গরুদের খাবার দিচ্ছিলাম আমি। সে সময় বেশ কয়েকটি শেয়াল বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাবার উপর হামলা চালায়। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও জখম হই। শেয়ালের কামড়ে বাবার চোখের উপরে আঘাত লেগেছে। আমার দুটো আঙুলে আঁচড়ে দিয়েছে একটি শেয়াল।’’
আহতদের স্থানীয় ভালুকা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শেয়ালের কামড়ে গ্রামবাসীদের কারও চোখে, কারও বা গলায় কিংবা আঙুলে আঘাত লেগেছে। গোটা ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভালুকা এলাকায়।
হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী চন্দন সাহা। তিনি বলেন, ‘‘আজ ভোরে আমাদের এলাকায় ৫-৭টা শিয়াল দল বেঁধে হামলা চালিয়েছিল। হামলায় ৫ জন গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটি বন দফতরকে জানানো হয়েছে।’’ মালদহ ডিভিশনের রেঞ্জ অফিসার সুজিতকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শেয়ালের হামলার ঘটনার খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করেছেন বনকর্মীরা।’’