Suicide

শিশুর কান্নায় ছুটে এসে প্রতিবেশীরা দেখলেন… বাবার গলায় ফাঁস, মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে!

চোপড়ার টেপাগাওয়ের বাসিন্দা নান্টু রায় এবং তাঁর স্ত্রী সোমা রায়ের দেহ সোমবার উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নান্টুর দেহ ঘরে পাওয়া গিয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায়। সোমার দেহ ছিল বিছানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চোপড়া শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৫০
Share:

বন্ধ ঘর থেকে মিলল স্বামীর স্ত্রীর দেহ। প্রতীকী চিত্র।

থেকে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রীর দেহ। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার লালবাজারের টেপাগাও এলাকায়। পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।

Advertisement

সোমবার সকালে টেপাগাও এলাকার বাসিন্দা নান্টু রায় (২৬) এবং তাঁর স্ত্রী সোমা রায় (২১)-এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নান্টুর দেহ ঘরে পাওয়া গিয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায়। সোমার দেহ ছিল বিছানায়। সোমবার বেলা অনেকটা গড়ালেও দরজা খোলেননি নান্টু বা তাঁর স্ত্রী সোমা। নান্টুর দাদা মন্টু বলেন, ‘‘সকাল ৯টা বেজে গেলেও আমার ভাই এবং বৌমা ঘরের দরজা খোলেনি। এর মধ্যেই আমার ভাইঝির কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। এর পর ওদের ঘরের জানালা খুলে দেখি ওই দৃশ্য। এর পর পুলিশকে খবর দিই আমরা। রাতে কী সমস্যা হয়েছে ওদের মধ্যে জানি না।’’

নান্টুর স্ত্রী সোমার ঠাকুমা জ্যোৎস্না হালদারের অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই ওদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। তার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।’’ সোমার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন নান্টু।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জানালা বাইরে থেকে খুলেতেই নান্টুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান তাঁর পরিবারের লোকজন। ঘরের মধ্যে শায়িত অবস্থায় ছিল সোমা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement