প্রিন্সেপঘাটে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। — ফাইল ছবি।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল প্রিন্সেপ ঘাট। অথচ তারই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না! এমনই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিমের উপস্থিতিতে উষ্মা প্রকাশ করে জানালেন, এই নিয়ে কেন তাঁকে বলতে হবে! এর পরেই উত্তরপ্রদেশের মতো কলকাতায় গঙ্গারতির জন্য একটি জায়গা খোঁজার নির্দেশও দেন। এ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। যে উত্তরপ্রদেশকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ কেন সেই রাজ্যকেই ‘নকল’ করতে হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মমতা। সেখানেই পর্যটনস্থলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। তুলে আনেন প্রিন্সেপ ঘাটের প্রসঙ্গ। ফিরহাদের উপস্থিতিতে মমতা বলেন, ‘‘প্রিন্সেপ ঘাট। ওখানে আমার পৌষ মেলা হয়। এখনই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। কেন রেগুলার মেনটেন্যান্স থাকবে না? কেন আমাকে বলতে হবে?’’
এর পরেই উত্তরপ্রদেশের মতো এ রাজ্যে গঙ্গারতির ব্যবস্থা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই গঙ্গা আরতির একটা জায়গা হোক। বিভিন্ন জায়গায়, যেমন উত্তরপ্রদেশে গঙ্গারতি হয়, সে রকম। আমাদের সেই সুযোগটা নেই।’’ তবে গঙ্গারতির জায়গা নির্বাচন যে সোজা কাজ নয়, তা-ও বলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমায় এমন জায়গা দেখতে হবে, যেখানে কেউ পড়ে যাবেন না। আরতিটা দেখতে পাবেন। যেখানে একটা মন্দির রয়েছে। বসবার জায়গা রয়েছে। যেখানে লোক মনে করবে, শান্তির পীঠস্থান। এ রকম জায়গা দেখে করতে হবে। সব ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দু’ বছর সময় লাগলেও কিছু যায় আসে না। আমি কলকাতা পুরসভাকে দায়িত্ব দিচ্ছি।’’
এই প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, কেন উত্তরপ্রদেশকে এখন নকল করতে চাইছেন মমতা, যে রাজ্যকে তিনি কথায় কথায় কটাক্ষ করেন। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশকে এত গালি দেন। যোগীর কপ্টার নামতে দিলেন না। প্রচার করতে দেবেন না। সেখানে কোনও মহিলার কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ পাঠিয়ে দিতেন। সেই উত্তরপ্রদেশকেই কপি করতে হচ্ছে।’’