শুধু অক্টোবরেই ১ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির কলকাতা সার্কল বা ক্যাল-টেল। —ফাইল চিত্র।
আর্থিক পরিস্থিতি স্বচ্ছল করতে পড়ে থাকা অফিসের জায়গা ভাড়া বা লিজ় দিয়ে আয় বাড়াতে চাইছে বিএসএনএল। এই পথে শুধু অক্টোবরেই ১ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির কলকাতা সার্কল বা ক্যাল-টেল। সংশ্লিষ্ট সার্কলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার দীপেশচন্দ্র টিকাদার এই তথ্য দিয়ে জানান, চলতি বছরে ভাড়া থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১২-১৩ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই খাতে ক্যাল-টেল ৭ কোটি টাকা আয় করেছিল। ২০২০-২১ সাল নাগাদ বিএসএনএল কেন্দ্রীয় ভাবে অফিস ভাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পর থেকে প্রত্যেকটি সার্কল এই পথে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
কলকাতা সার্কলের শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি অফিসের পড়ে থাকা জায়গা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত করা হয়েছে আরও বেশ কিছু জায়গা। ভাড়া দেওয়া অফিসের তালিকায় রয়েছে সল্টলেকের লালকুঠি-সহ দু’টি ভবন। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস (এনইউজেএস) তা নিয়েছে। বিবাদি বাগের টেলিফোন ভবনে রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক ও আধারের অফিস। বড়বাজার ও মোমিনপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের জায়গা ভাড়া নিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। যাদবপুর, আলিপুর ও কল্যাণীতে ভাড়া নিয়েছে ব্লিঙ্কইট। কালিঘাটে জ়েপটো, বেহালায় ফেডারাল ব্যাঙ্ক, রানিকুঠি ও মানিকতলায় রাষ্ট্রায়ত্ত কানাড়া ব্যাঙ্ক অফিস ভাড়া নিয়েছে।
এর পাশাপাশি, বাগবাজার, বারাসত, ব্যারাকপুর, চুঁচুড়া, ভাটপাড়া, উত্তরপাড়া টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন সংস্থা এবং বিপণিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ লক্ষ বর্গফুটের বেশি জায়গা ইতিমধ্যেই ভাড়া দিয়েছে এই সার্কল। এই সব জায়গা মিলিয়ে অক্টোবরে ১ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে। তবে দীপেশবাবু জানিয়েছেন, পড়ে থাকা উদ্বৃত্ত জমি বিক্রির পরিকল্পনা থাকলেও এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সূত্রের খবর, কল্যাণী, মানিকতলা, দমদম-সহ বিভিন্ন জায়গায় এমন বেশ কয়েক একর জমি পড়ে রয়েছে।