খগেন মুর্মুকে ঘিরে বিক্ষোভ, দেখানো হল কালো পতাকা। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘিরে তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। বিজেপির একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনা দিয়েছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন। কিন্তু আটকে দেওয়া হয় তাঁর কনভয়। এ নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
বুধবার দুপুরে খগেন রওনা দিয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকে বিজেপির একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে। কিন্তু তার আগেই গোপাল কেডিয়া মোড় এলাকায় আটকে দেওয়া হয় তাঁর কনভয়। সাংসদকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দেখানো হয় কালো পতাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও তার পরেও কিছু ক্ষণ সাংসদের কনভয় আটকে রাখেন তৃণমূল কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি কর্মীরাও। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। মারমুখী হয়ে ওঠে দু’পক্ষই। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য কিছু ক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
তৃণমূলের অভিযোগ, সাংসদ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উসকানি দিচ্ছেন। তাঁকে এলাকাতেও দেখা যায় না বলে অভিযোগ জোড়াফুল শিবিরের। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত বলেন, ‘‘উনি এলাকাবাসীর ভোটে সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু তিনি সাংসদ কোটার টাকা এলাকার উন্নয়নের জন্য খরচ করছেন না। ভোটের পর তাঁকে এই প্রথম দেখা গেল। উনি কেবল উস্কানি দিতে আসেন।’’
তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে খগেনের বক্তব্য, ‘‘সাংসদ তহবিলের অর্থ বন্ধ করে গরিব মানুষের চালের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, হরিশ্চন্দ্রপুরের উন্নয়নের জন্য সৌর আলো, উচ্চস্তম্ভের আলো, পানীয় জল-সহ নানা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। আর তৃণমূল সব লুট করেছে। তাই ওরা দেখতে পারছে না কিছু।’’