Water Supply

অল্প জমিতে জল, দাবি বিজ্ঞপ্তি দেখে

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকে মূলত বোরো ধানের চাষ হয়। ব্লকে প্রায় তিন হাজার একর জমিতে বোরো ধান হয়ে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৩০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বোরো ও রবি মরসুমে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও ডিভিসি-র জল মিলবে, সম্প্রতি রাজ্যের সেচ ও জলপথ বিভাগের তরফে এমন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তবে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে এই জল পাওয়া যাবে। বর্ধমান মেন ক্যানাল ও পানাগড় ব্রাঞ্চ ক্যানালের সেচখালে জল মিলবে। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের নাচন ড্যাম থেকে কিছু জল পাওয়া যাবে। তবে দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ ক্যানালে গত চার বারের মতো এ বারও জল মিলবে না। চাষিদের দাবি, সামগ্রিক ভাবে, খুব সামান্য এলাকাতেই ডিভিসি-র জল পাওয়া যাবে।

Advertisement

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকে মূলত বোরো ধানের চাষ হয়। ব্লকে প্রায় তিন হাজার একর জমিতে বোরো ধান হয়ে থাকে। পাশাপাশি, রবি মরসুমে জেলা জুড়ে প্রায় ১০ হাজার একর জমিতে সর্ষে, গম, মুসুর চাষ হয়। রবি মরসুমের চাষগুলি হয় মূলত নদীসেচ প্রকল্প, গভীর নলকূপ, পুকুরের মতো বিভিন্ন উৎস থেকে জল সংগ্রহ করে। আবার, ডিভিসি-র সেচখালের যেটুকু জল মেলে, তাতে কাঁকসার আমলাজোড়া ও কাঁকসা পঞ্চায়েতের কিছু এলাকায় বোরো ধান চাষ করা হয়। ব্লকের অন্য পঞ্চায়েতগুলিতে মূলত সাবমার্সিবল, নদীসেচ প্রকল্পের মতো উৎস থেকে বোরো ধান ফলান চাষিরা। এ বছর জেলায় বোরো ধানের জন্য ১,৬৫০ একর জমিতে এবং রবি ফসলের ১,৩৮০ একর জমিতে ডিভিসি-র জল মিলতে পারে বলে সেচ দফতর সূত্রের খবর।

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেন ক্যানাল ও পানাগড় ব্রাঞ্চ ক্যানালে জল দেওয়া হলেও, দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ ক্যানাল এ বছরও জল পাবে না। ফলে, কাঁকসার গোপালপুর, মলানদিঘি, ত্রিলোকচন্দ্রপুর, বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকায় সেচখালের জল মিলবে না। ওই সব এলাকার চাষিদের সঙ্গে
কথা বলে জানা গিয়েছে, গত চার মরসুম ধরেই এই সেচখালে জল মিলছে না। ফলে, বোরো বা রবি ফসলের চাষ করতে হলে নিজেদের উদ্যোগেই জলের ব্যবস্থা করতে হয় বলে দাবি চাষিদের।

Advertisement

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে ওই সেচখাল সংস্কারের কাজ চলার জন্য জল মেলেনি। তবে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ জল ডিভিসির তরফে মিলবে বলে জানা গিয়েছে, তাতে দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ ক্যানালে জল বিশেষ যাবে না। সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (দুর্গাপুর ব্যারাজ) সঞ্জয় মজুমদার বলেন, ‘‘আপাতত বর্ধমান মেন ক্যানাল ও পানাগড় ব্রাঞ্চ ক্যানালে জল দেওয়া হবে। অন্য কোনও সেচখালে জল দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ জেলা কৃষি দফতরের উপ-কৃষি আধিকারিক জাহিরুদ্দিন খান বলেন, ‘‘গত বছর একই পরিমাণ এলাকায় চাষ হয়েছিল। জল আর একটু বেশি পাওয়া গেলে চাষের এলাকা বাড়ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement