রাস্তায় বিক্ষোভরত মহিলাকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
এক মহিলাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় তাঁর শরীরে হাত দেওয়ার অভিযোগে ‘ক্লোজ়’ করা হল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থানার এএসআই জগদীশ ঘোষকে। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের নাটাবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাড়ালজানি এলাকার বাসিন্দা মমতাজ খাতুন। তাঁর অভিযোগ, পারিবারিক জমি বিবাদ নিয়ে গত ৯ মে একটি সালিশি সভায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির আলি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মমতাজের অভিযোগ, ওই ঘটনার প্রতিবাদে তুফানগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাঁর অভিযোগ জমা নেয়নি পুলিশ। বিচার চেয়ে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানান ওই মহিলা। বিচার না পেলে আত্মহত্যা করবেন হুমকি দিয়েছিলেন। খবর পেয়ে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
মমতাজ অভিযোগ করেন, মহিলা পুলিশের বদলে তাঁকে তুফানগঞ্জ থানার এএসআই জগদীশ ঘোষ বলপূর্বক পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যান। তাঁকে ধাক্কা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, এএসআই তাঁর চুলের মুঠি ধরে জোর করে গাড়িতে তোলেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তার পরেই তুফানগঞ্জ থানার ওই এএসআইকে ‘ক্লোজ়’ করেছে পুলিশ বিভাগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জগদীশ ঘোষকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ় করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে।’’