নওশাদ সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে রবিবার নেতাজি ইন্ডোরে সভা করলেও, পরে ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চান বলে জানালেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। শনিবার তিনি শাসক তৃণমূল এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেন, “একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ভিক্টোরিয়া হাউসটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ওটা জনগণের, ভারতের সম্পত্তি।” আদালতের অনুমতি নিয়ে পরে ওইখানেই তিনি দলীয় সভা করতে চান বলে জানান নওশাদ।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২১ জুলাই এই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই ‘শহিদ সমাবেশ’ করে তৃণমূল। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার এই জায়গাতেই আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে চেয়েছিলেন নওশাদেরা। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ আইএসএফের সেই আবেদনে শর্তসাপেক্ষে সায় দিলেও, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। ধর্মতলার পরিবর্তে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করার অনুমতি পান নওশাদেরা।
শনিবার নওশাদ জানান, আদালতের শর্ত মেনেই এক হাজার জনের কম কর্মী-সমর্থককে নিয়ে রবিবার ইন্ডোরে সভা করবে আইএসএফ। রাজ্য সরকার পুলিশকে দিয়ে সভা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে পরবর্তী সময়ে ধর্মতলায় সভা করার ক্ষেত্রে তাঁরা পিছিয়ে আসবেন না বলে জানিয়েছেন নওশাদ। দলের কর্মী-সমর্খকদের অনেককেই রবিবার কলকাতায় না আসার বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মী-সমর্থকদের ব্লক স্তরে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি নওশাদের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘গত বছর এই সভা ঘিরেই ধর্মতলায় অশান্তি হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে আপনার মক্কেল এখনও অভিযুক্ত। জামিনে রয়েছেন। তাই এ বছরের সভাতেও কোনও অশান্তি হবে না, তা আদালত বিশ্বাস করে না।’’ ওই একই দিনে শহরে ম্যারাথন রয়েছে। আদালত মন্তব্য করে, ‘‘ওই রাজনৈতিক সভার থেকে ম্যারাথন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা বরং রাজ্যের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র বা নেতাজি ইন্ডোরে সভা করুন।’’ প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পরই রাজ্যের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা আইএসএফকে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করার অনুমতি দিচ্ছে।