দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আপ প্রধানের দাবি, দিল্লিতে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে বিজেপিকে মদত দিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। অন্য দিকে, অভিযোগ, আপ কর্মী ও সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সভা বাতিল করতে চলছে নানা ‘চক্রান্ত’!
সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন কেজরীওয়াল। সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মারলেনাও। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপিকে সাহায্য করছে দিল্লি পুলিশ। কেজরী বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কেউ নেই। এক জন পুলিশকর্তা নিজে মুখে আমাকে বলেছিলেন, আমাদের সমাবেশে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে নির্দেশ পেয়েছেন। এর বিরুদ্ধে দিল্লির মানুষকে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং বিজেপিকে জবাব দিতে হবে।’’ নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকে এ বার ভোট দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা কেজরীর। এর পরেই সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে আপ প্রধান বলেন, ‘‘দিল্লির হার বিজেপির ঐতিহাসিক পরাজয়। সে কারণেই ওদের সমর্থকেরা পুলিশের সমর্থন নিয়ে গুণ্ডামি করছে।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে আতিশীর গলাতেও। তাঁর অভিযোগ, আপ সমর্থকদের লাগাতার হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুড়ীর সমর্থকদের নিশানা করেছেন আপ নেত্রী।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা ভোট। ভোটগণনা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার এবং প্রস্তুতি তুঙ্গে। দিল্লিতে কোনও জোটে থাকতে চাননি কেজরী। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হয়েছিল তাঁর দল। কিন্তু দিল্লির নির্বাচনের দিন ঘোষণার অনেক আগেই তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর দল একা লড়বে এবং সব আসনে প্রার্থী দেবে। দিল্লিতে কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গেই আপের মূল লড়াই। দিল্লি বিধানসভায় মোট আসন ৭০টি। প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৭ জানুয়ারি। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই বিশৃঙ্খলা বাড়ছে দিল্লিতে। সেই আবহে এ বার খোদ পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলল আপ।