গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
স্যালাইন-কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে আংশিক কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। মঙ্গলবার তা তুলে নেওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে কাজে ফিরেছেন আন্দোলনকারী ডাক্তারেরা। অন্য দিকে, হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিতর্কের আবহে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পল্লবী চট্টোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র চিকিৎসক।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং চার প্রসূতির অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। স্বাস্থ্য দফতরও ওই ঘটনায় হাসপাতালের জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তার মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে সাসপেন্ড করেছে। তাঁদের মধ্যে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। সিনিয়র রেসিডেন্ট পল্লবী তাঁদেরই এক জন। তিনি অ্যানাস্থেসিস ইউনিট সি ওয়ানের দায়িত্বে ছিলেন। পল্লবী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেছেন, সিআইডি তড়িঘড়ি অভিযোগ দায়ের করে কর্মরত চিকিৎসকদের সব দায় চাপিয়ে দিতে চাইছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যেখানে স্যালাইন নিয়ে এত বিতর্ক, সেই স্যালাইন নিয়ে তদন্ত না করে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে ডাক্তারদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’ আগামী সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন প্রত্যাহার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি লিখেছিলেন ডাক্তারদের একাংশ। হাসপাতালের অধ্যক্ষের মাধ্যমেও স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, তাঁরা কর্তৃপক্ষের থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পেয়েছেন। তাই তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে কাজে ফিরেছেন।