রামলালার মূর্তি। —ছবি: এক্স।
‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আর দু’দিন বাকি। সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রস্তুতি পর্বও প্রায় শেষ লগ্নে। সেজে উঠেছে রামের জন্মভূমি। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে ২০ এবং ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দর্শন করবেন আরও তিন মন্দিরের।
শনিবার সকাল ১১টায় তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে যান মোদী। তার পর সেখান থেকে দুপুর ২টো নাগাদ শ্রী অরুলমিগু রামনাথস্বামী মন্দিরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। রবিবার কোঠানদারামস্বামী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মোদীর। পাশাপাশি নানা আচারবিধি পালন করা হচ্ছে অযোধ্যায়। শনিবার সকালে পুষ্পদিবস অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে সেখানে। শনিবার সন্ধ্যায় শর্করাঅধিবাস এবং ফলঅধিবাস অনুষ্ঠান হবে অযোধ্যায়। সোমবার দুপুর সওয়া ১২টা থেকে পৌনে ১টার মধ্যে রামমন্দির উদ্ধোধন হবে বলে মন্দির নির্মাণকারী সংস্থা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানা গিয়েছে। সোমবার মন্দির উদ্বোধন হলেও মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য এই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে।
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানা গিয়েছে যে সারা দিনে দু’বার মন্দিরের দরজা খোলা হবে। সকাল ৭টায় মন্দিরের দরজা খোলার পর সাড়ে ১১টার সময় দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার পর আবার দুপুর ২টো থেকে দর্শনার্থীরা মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবেন। সন্ধ্যা ৭টার সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।
মন্দিরে দর্শনার্থীদের জন্য সারা দিনে মোট তিন বার আরতির আয়োজন করা হয়েছে। তিনটি আলাদা সময়ে আরতি দেওয়া যাবে। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে দর্শনার্থীরা জাগরণ আরতি দিতে পারবেন। দুপুর ১২টা থেকে ভোগ আরতির আয়োজন থাকবে রামমন্দিরে। সন্ধ্যারতি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। দর্শনার্থীরা আরতি দিতে চাইলে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট আগে মন্দিরের ক্যাম্প অফিসে পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হতে হবে। সেখান থেকে আরতি দেওয়ার পাস সংগ্রহ করলে তার পর আরতি দেওয়ার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।