সইফের বাড়ির দুই পরিচারিকার জন্য সাবার বিশেষ বার্তা। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছেন সইফ আলি খান। একাধিক ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেতা। গত সপ্তাহে সইফ ও করিনার বাড়িতে মধ্যরাতে হানা দিয়েছিলেন ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। সেই দিন মূল অভিযুক্তকে প্রথম দেখতে পান সইফ-পুত্র জেহ-র ন্যানি এলিয়াম্মা ফিলিপ। জেহ-র ঘরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শরিফুল। তড়িঘড়ি একরত্তিকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন এলিয়াম্মা। কিন্তু তাঁকে দেখতে পেয়ে যান শরিফুল। নিজের এক কোটি টাকা দাবির কথা জানিয়েই জেহ-র ন্যানির উপরে চড়াও হয়েছিলেন তিনি। নিজে চোট পেলেও জেহ-র গায়ে আঁচ লাগতে দেননি তিনি। আরও এক পরিচারিকা এই দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন পরিবারের। সইফের উপর যখন শরিফুল একের পর এক ছুরিকাঘাত করছিলেন, তখন তিনিই এগিয়ে এসেছিলেন। এ সব কথা মাথায় রেখে সইফের বড় বোন সাবা পটৌদী বিশেষ ভাবে তাঁদের কুর্নিশ জানালেন।
সমাজমাধ্যমে ন্যানি এলিয়াম্মা ও আর এক পরিচারিকার সঙ্গে ছবি ভাগ করে নেন সাবা। ছবির সঙ্গে সাবা লেখেন, “এঁরাই অজ্ঞাত নায়ক। যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখনই ওঁরা বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আপনাদের এবং অন্য যাঁরা আমার ভাই ও তাঁর পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের সকলের জন্য শুভকামনা। আপনারাই সেরা। আপনারাই হিরো।”
হামলার দিন ধৃত শরিফুল প্রথম জেহ-র ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছেন, দেখে সঙ্গে সঙ্গে সইফ-পুত্রকে বাঁচাতে এগিয়ে যান এলিয়াম্মা। সকলকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “কেউ কোনও শব্দ করবে না। কেউ ঘরের বাইরে যাবে না।” এই বলেই কোনও মতে জেহ-কে কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে দেখে ফেলে দুষ্কৃতী। একটি কাঠের লাঠি দিয়ে ন্যানিকে মারে এবং কব্জিতে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করে। ভয় না পেয়ে এলিয়াম্মা দুষ্কৃতীকে প্রশ্ন করেন, তিনি কী চান। তখনই এক কোটি টাকা দাবি করেন শরিফুল। এই ফাঁকে সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে পালায় জেহ।