Deepfake Video Controversy

সমাজমাধ্যমে রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়ানোর ‘মূল পাণ্ডা’কে পাকড়াও দিল্লি পুলিশের

গত নভেম্বরে একটি ডিপফেক ভিডিয়োয় এক ব্রিটিশ-ভারতীয় সমাজমাধ্যম প্রভাবীর ভিডিয়োয় প্রযুক্তিগত কারচুপি করে রশ্মিকার মুখ জুড়ে দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর অভিযোগ দায়ের করে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৫
Share:

রশ্মিকা মন্দনা। —ফাইল চিত্র।

অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার ডিপফেক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। নভেম্বর মাসের সেই ঘটনায় এ বার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ডিপফেক কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

গত নভেম্বরে একটি ডিপফেক ভিডিয়োয় এক ব্রিটিশ-ভারতীয় সমাজমাধ্যম প্রভাবীর ভিডিয়োয় প্রযুক্তিগত কারচুপি করে রশ্মিকার মুখ জুড়ে দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি এবং ৬৬ই ধারায় দিল্লি পুলিশের তরফে দায়ের করা হয়েছিল এফআইআর। সমাজমাধ্যমের পাতায় রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর রশ্মিকা লেখেন, ‘‘আমার মুখ বসানো যে ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আমার খারাপ লাগছে। এই ঘটনা আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই ভয়েরও। কোনও প্রযুক্তির যে এমন অপব্যবহার হতে পারে, তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।”

এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ভিডিয়োর সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে বিহারের এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। চার সন্দেহভাজনকেও গ্রেফতার করা হয়। ফেসবুক, হোয়্যাটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম যে সংস্থার অধীনে, সেই সংস্থা মেটার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নিজেদের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল দিল্লি পুলিশ। সেই তথ্য থেকেই সূত্র মেলে ওই চার জন সন্দেহভাজনের। ভুয়ো পরিচয়ের মাধ্যমে সমাজমাধ্যমের পাতায় নায়িকার ওই আপত্তিকর ভিডিয়ো আপলোড করেন তাঁরা। পরে আবার জানা যায়, ওই চার সন্দেহভাজন নাকি আদপে ওই ভিডিয়োর স্রষ্টা নন। তাঁরা নাকি স্রেফ সমাজমাধ্যমে আপলোড করেছিলেন ওই ভিডিয়ো। কয়েক দফায় জেরার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকে হন্যে হয়ে মূল অভিযুক্তকে খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

তবে একা রশ্মিকা নন, ডিপফেক ভিডিয়োর শিকার হন ক্যাটরিনা কইফ, কাজল, আলিয়া ভট্টের মতো অভিনেত্রীরাও। ‘টাইগার ৩’ ছবিতে স্নানপোশাকে ক্যাটের ছবিকে বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে। অন্য দিকে, সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয় এমন একটি ভুয়ো ভিডিয়ো, যাতে দেখা যায় ক্যামেরার সামনেই নিজের পোশাক খুলছেন কাজল। তার পরেই ডিপফেকের শিকার হন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। সেই ভিডিয়োয় একটি খোলামেলা পোশাকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই পোশাক পরে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় তাঁকে। ভিডিয়ো থেকেই স্পষ্ট, ওই মহিলা আদৌ আলিয়া নন। আধুনিক প্রযুক্তির কারসাজির সাহায্যে আলিয়ার মুখ বসানো হয়েছিল ওই ভিডিয়োয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement