তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই। —নিজস্ব চিত্র।
ব্লক অফিসের গেট বন্ধ করে তৃণমূলের দুই পক্ষের হাতাহাতিতে উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের সালার এলাকায়। তুঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বনাম জেলা তৃণমূল সভাপতির দ্বন্দ্ব।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেরিঘাটের লিজ় বণ্টকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং দলের ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমর্থনকারীদের মধ্যে। কার হাতে ফেরিঘাটে স্বত্ব থাকবে, তাই নিয়ে চলে লড়াই। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীকে ঠেকাতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়েছে পুলিশকে। ভরতপুর-২ ব্লকের সামনে টহলদারি করে পুলিশ।
প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ব্লকের একাধিক ফেরিঘাটের লিজ় সংক্রান্ত টেন্ডার বণ্টনের কর্মসূচি ছিল ব্লক অফিসে। টেঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফেরিঘাটের স্বত্ব কাদের দখলে থাকবে, তাই নিয়ে লড়াই শুরু হয়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হুমায়ুন। ঘটনাস্থলে আগেই উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি, মারামারিতে উত্তেজনা ছড়ায় ব্লক অফিস চত্বরে। খবর পেয়ে কান্দি এবং সালার থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
গন্ডগোল নিয়ে হুমায়ুনের অভিযোগ, ‘‘জেলা তৃণমূলের সভাপতি (অপূর্ব সরকার)-র মদতে ব্লক সভাপতির (মুস্তাফিজুর) লোকজন ন্যায্য লিজ় হোল্ডারদের উপর শক্তি প্রয়োগ করে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে।’’ তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ‘‘পুলিশের ভূমিকা সঠিক ছিল না।’’ অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব বলেন, ‘‘প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় দল হস্তক্ষেপ করে না। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশাসনই নেবে।’’