এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রান্না করতে করতে মশলা আনতে উঠে গিয়েছিলেন মহিলা। তার মধ্যেই দড়াম করে শব্দ। দৌড়ে এসে মহিলা দেখলেন উনুনের পাশে রাখা ঘুগনির কড়াই গড়াচ্ছে। আর তাঁর দুধের শিশুটি পড়ে রয়েছে তার মধ্যে। শিশু এবং মায়ের আর্ত চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসেছিলেন। দেড় বছরের শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো গেল না তাকে। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে শিশুটির মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকের আবহ বীরভূমের ধনঞ্জয়পুরে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতের নাম আকসাম শেখ। বাড়ি বীরভূমের ধনঞ্জয়পুর এলাকায়। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার ছোট্ট আকসামের মা মানুয়ারা বেগম উনুনে ঘুগনি রান্না করছিলেন। উনুন থেকে গরম ঘুগনির কড়াইটি পাশে নামিয়ে ঘরের ভিতরে মশলা আনতে গিয়েছিলেন তিনি।
তখনই রান্নাঘরে হামাগুড়ি দিতে দিতে ছেলে আকসাম পড়ে যায় ঘুগনির কড়াইতে। শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল শিশুটির।
শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুরারই হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতি দেখে সেখানকার চিকিৎসকেরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করেছিলেন। শুক্রবার সকালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যালের পুলিশ মর্গেই ময়নাতদন্ত হবে।