উদ্ধার হওয়া তিনটি মূর্তি পরিষ্কার করে শুরু হয়েছে পুজোপাঠ। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির উঠোনের মাটি খুঁড়তে গিয়ে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। একটি মূর্তির উচ্চতা প্রায় ৩ ফুট। সঙ্গে আরও ২টি ২ ফুট উচ্চতার পাথরের বিষ্ণুমূর্তি। সোমবার দুপুরে নদীয়ার নাকাশিপাড়া ব্লকের গাছা এলাকার সরদারপাড়া গ্রামে ওই মূর্তি উদ্ধারের পর ভিড় উপচে পড়ছে। চলছে পুজো দেওয়া।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২-৩ তিন ধরে সমার সর্দার এক গৃহস্থের বাড়ির সামনে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। সোমবার দুপুরে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পান সবাই। মাটি কাটা বন্ধ করে খোঁজ শুরু করতেই একটি পাথরের মূর্তি উদ্ধার হয়। ওই বাড়ির মালিক মূর্তিটি নিয়ে বাড়িতে রাখেন। মূর্তিটি পরিষ্কার করার পর পুজোপাঠ শুরু হয়েছে। সমীরের অনুমান, এটা অত্যন্ত প্রাচীন এবং মূল্যবান পাথর।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, গঙ্গার পূর্ব পারে অর্থাৎ মুর্শিদাবাদের লালবাগ থেকে শুরু করে নদিয়ার কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অংশে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও প্রত্ননিদর্শন মাটির নীচে চাপা পড়ে আছে। যেখান থেকে ওই বিষ্ণুমূর্তিগুলি উদ্ধার হয়েছে। তার কিছুটা দূরে রয়েছে বল্লাল সেনের ঢিবি। উদ্ধার হওয়ায় বিষ্ণুমূর্তিগুলির গঠনশৈলী দেখে অনুমান করা হচ্ছে, এগুলি পাল কিংবা সেন যুগের শিল্প নৈপুণ্যের নিদর্শন। প্রাচীন ভারতের সভ্যতার ইতিহাস বিশেষজ্ঞ অমরেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যেখান থেকে এই মূর্তিগুলো উদ্ধার হয়েছে, সেখানে খননকার্য চালালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে।’’