CPM

হরেকৃষ্ণ কোঙারের নামে সিপিএমের সেই বাড়ি এখন সৎসঙ্গের দীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র

দুই দশক আগে হরেকৃষ্ণ কোঙারের নামাঙ্কিত বাড়ির উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সিপিএম পরিচালিত ট্রাস্টি বোর্ডের আওতায় থাকা সেই বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিতর্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩৮
Share:

তখনও ওই ভবনে চলছে অনুষ্ঠান। — নিজস্ব চিত্র।

দু’দশক আগে সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের নামাঙ্কিত বাড়ির উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সিপিএম পরিচালিত একটি ট্রাস্টি বোর্ডের আওতায় থাকা সেই বাড়িতে রবিবার থেকে শোনা যাচ্ছে ধর্মীয় সঙ্গীত। চলছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও। অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫তম ‘জন্মমহোৎসব’ ঘিরে ২৬ নভেম্বর, রবিবার দিনভর ওই ভবনের একটি ঘরে চলে দীক্ষা প্রদান। সোমবার সেখানে বসে মধ্যাহ্নভোজের আসরও। কমিউনিস্ট আদর্শে অনুপ্রাণিত একটি দলের আওতায় থাকা ভবনে কী ভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছে সেই প্রশ্ন তুলে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। কল্যাণীর সিপিএম নেতৃত্বের অবশ্য সাফাই, ওই ভবনের সামনে কেমলমাত্র খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

নদিয়ার কল্যাণীর বি-ব্লকে সিপিএম পরিচালিত ট্রাস্ট ‘হরেকৃষ্ণ কোঙার সমাজবিজ্ঞান কেন্দ্র’ নামে ভবন রয়েছে। সেই ভবনে দু’দিন ধরে চলছে ধর্মীয় অনুষ্ঠান। অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫তম ‘জন্মমহোৎসব’ উপলক্ষে রবিবার দিনভর ওই ভবনের ঘরে চলে দীক্ষাদান অনুষ্ঠান। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ নিয়ে কল্যাণী সৎসঙ্গ উৎসব কমিটির সম্পাদক প্রকাশ নাথ জানান, ওই ভবনের পাশে একটি স্থানীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘জন্মোৎসব’-এর মূল অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে ওই ভবনের নীচতলার একটি ঘরে দীক্ষাদান অনুষ্ঠান হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ভবনটি অর্থের বিনিময়ে ভাড়া নেওয়া হয়নি। ভবনের সামনে তাঁবু তৈরি করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবিরও হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সিপিএমকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘এমনিতেও ওদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ। তাই ফাঁকা ঘর ভাড়া দিয়েছে। ধর্মে সুড়সুড়ি দিয়ে ফর্মে ফিরতে চাইছে।’’

Advertisement

আবার ভিন্ন মত বিজেপির। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘বিজেপির দেখানো পথেই সকলকে আসতে হবে। সনাতন ভারতবর্ষ একমাত্র পথ।’’

২০০৪ সালের ৩০ জুন এই ভবনের শিল্যানাস করেছিলেন জ্যোতি বসু। বর্তমানে ওই ভবনটি সিপিএম পরিচালিত একটি ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে। যার বর্তমান সম্পাদক সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ অলোকেশ দাস। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ওই ভবন ব্যবহার নিয়ে অলোকেশের সাফাই, ‘‘এই ভবন কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় না। ভবনটির সামনে শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ‘হরেকৃষ্ণ কোঙার সমাজবিজ্ঞান কেন্দ্র’-এর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অলোকেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement