—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নির্বাচনী প্রচারে বার বারই এসেছে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি প্রসঙ্গ। কিন্তু ভোটপর্ব মিটতেই সে সব প্রতিশ্রুতি ভুলেছেন সব পক্ষ। শেষমেশ দীর্ঘ টালবাহানার পর এ বার সেই বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়তে চলেছে। আগামী নভেম্বর মাস থেকেই ২৪ টাকা বাড়ছে মজুরি।
শনিবারই দীর্ঘ তিন বছর পর রাজ্যের কয়েক লক্ষ বিড়ি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে বিড়ি মালিক সংগঠনগুলি। জানানো হয়েছে, আগামী নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূম, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার বিড়ি তৈরির কারিগরদের মজুরি বাড়তে চলেছে। যদিও তাতে খুশি নন সাধারণ বিড়ি শ্রমিকেরা। এই মজুরি বৃদ্ধিকে ‘নিতান্তই সামান্য’ বলে দাবি করছেন তাঁদের বেশির ভাগই। ধুলিয়ানের বিড়ি মহল্লার রুকসানা বানু বলেন, ‘‘পার্টির নেতারা কবে থেকে বলে আসছেন মজুরি বাড়িয়ে ২৭৫ টাকা করা হবে, সেই জায়গায় সামান্য ২৪ টাকা মজুরি বাড়িয়ে আর কী হবে!’’
শনিবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে একাধিক বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিক পক্ষের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক চলে। দীর্ঘ বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকেই বাড়বে মজুরি। এক হাজার বিড়ি তৈরির মজুরি ২৪ টাকা বেড়ে হবে ২০২ টাকা। এই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ন’টি বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। মালিক পক্ষের তরফে স্বাক্ষর করেছেন ঔরঙ্গাবাদ ও ধুলিয়ান বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারীরাও।
ঔরঙ্গাবাদ বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার জৈন বলেন, ‘‘২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি শেষ বারের মতো বেড়েছিল। বিড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করছেন। শনিবার বিড়ি শ্রমিকদের ন’টি ইউনিয়নের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর স্থির হয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১০০০ বিড়ি তৈরির মজুরি ১৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ২০২ টাকা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে রাজ্যের প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি বিড়ি শ্রমিক উপকৃত হবেন। সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বিড়ি শ্রমিকেরা।’’