— প্রতীকী চিত্র।
উপপ্রধানের দুই ভাই এবং এক আত্মীয়কে মারধর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শোরগোল মুর্শিদাবাদ রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত পাতলাটোলা এলাকায়। তৃণমূল সমর্থকদের খুনের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তিন বাম নেতা। যদিও বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁদের নেতাদের ফাঁসানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে তানজিল শেখ, আসগর শেখ এবং ওবাইদুর শেখ নামের তিন যুবক রঘুনাথগঞ্জের মিঠিপুরে একটি মেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় আচমকা আট-দশ জনের একটি দুষ্কৃতীদল তাঁদের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের কোপানো হয়। আহতদের উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের ভর্তি করানো হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তানজিল এবং আসগর সম্পর্কে গিরিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কারু শেখের ভাই। অন্য জন তাঁর ভাইপো বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের উপপ্রধান কারু বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে নুরুল এবং সিপিএমের দুষ্কৃতীরা এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমাদের গ্রামে তৃণমূল সমর্থকদের উপর এর আগেও হামলা হয়েছে। তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির জন্য নুরুল এবং তাঁর দলবল আমার পরিবারের লোকেদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। আমার ভাই, ভাইপো সকলেই তৃণমূল করে।’’
যদিও সিপিএম নেতা নুরুল ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে আমরা বাড়িতেই ছিলাম। উপপ্রধানের ভাই তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছেন। তখন গ্রামবাসীরা মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। তাই এখন রাজনৈতিক ভাবে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় আমাদের ফাঁসাতে চাইছেন।’’ জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।