‘সেবাশ্রয়’ শিবিরে অসুস্থ শিশুর পরিবারের পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
জটিল রোগে আক্রান্ত ছোট্ট কৃতি। ডায়মন্ড হারবারে দু’বছর বয়সি সেই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুষ্প্রাপ্য ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থাও করে দিলেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’ শিবির চলছে। সেখানেই শুক্রবার ওই শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়ান অভিষেক।
অভিষেকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটির নাম কৃতি মান্না। তার বাবা-মা তাকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুরের পানকুয়া গ্রামে ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরে এসেছিলেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, ওই শিশু জটিল এবং গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। অভিষেক সেই সময়ে শিবিরে ছিলেন। তিনি নিজে শিশুটিকে দেখেন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় সাহায্য করার আশ্বাস দেন তার পরিবারকে।
‘সেবাশ্রয়’ শিবিরের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বিশেষ যত্ন প্রয়োজন ওই শিশুর। তাকে দিতে হবে এমন একটি ইঞ্জেকশন, কলকাতায় বা রাজ্যের অন্য হাসপাতালে যা পাওয়া যায় না। দিল্লি এমসে ওই ইঞ্জেকশনের সুবিধা রয়েছে। ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরের স্বেচ্ছাসেবক এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতাতেই ওই শিশুর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। ইঞ্জেকশনগুলিও মিলবে কলকাতাতেই। ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর শিশুটির প্ল্যাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন। অভিষেক জানিয়েছেন, সেই চিকিৎসাতেও তিনি সাহায্য করবেন।
গত ২ জানুয়ারি থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করেছেন অভিষেক। বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। চোখ, রক্তচাপ, সুগার থেকে ক্যানসার— বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। বর্তমানে ‘সেবাশ্রয়’ চলছে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। ২ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ‘সেবাশ্রয়’ থেকে সেবা পেয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ।
কিন্তু কেন এই পৃথক উদ্যোগ? রাজ্য সরকারের তরফেই তো বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। একাধিক স্বাস্থ্য প্রকল্পও রয়েছে রাজ্যের। তবে কি নিজের কেন্দ্রে আলাদা করে শিবির বসিয়ে ‘সমান্তরাল’ কোনও স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু করতে চান তৃণমূল ‘সেনাপতি’? প্রশ্ন উঠেছে। জল্পনার জবাবও দিয়েছেন অভিষেক নিজে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার যথেষ্ট করেছে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করছি। হয়তো একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা হাসপাতাল আছে, আমি সেখানে চেষ্টা করেছি একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটে করে ক্যাম্প করার।’’ রাজ্যের সঙ্গে আলাদা করে তুলনা মানতে চাননি অভিষেক।