সইফকে সেই রাতে হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধু আফসার জ়ইদি। ছবি: সংগৃহীত।
এক সপ্তাহের বেশি কেটে গিয়েছে। এখনও চর্চায় সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা। একের পর এক তথ্য উঠে আসছে ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সেই রাতে সইফকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পুত্র ইব্রাহিম আলি খান। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, ইব্রাহিম নন, সইফের হাত ধরে সেই রাতে হাসপাতালে পৌঁছয় তৈমুর। এর জন্য বাহবাও পেয়েছে বছর আটের বালক। কিন্তু সইফের মেডিক্যাল রিপোর্ট অন্য কথাই বলছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, সইফকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন আফসার জ়ইদি। সম্পর্ক হিসাবে লেখা রয়েছে ‘বন্ধু’। সইফের এই মেডিক্যাল রিপোর্ট নেটপাড়ায় ভাইরাল। লীলাবতী হাসপাতালে তরফ থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট বান্দ্রা পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্টে লেখা, সইফের উপর হামলা হয়েছিল রাত আড়াইটের সময়। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ভোর চারটে বেজে ১১ মিনিটে।
তবে সেই দিন নাকি সইফের সঙ্গে তৈমুরও ছিল। বন্ধু আফসর জানিয়েছেন, তৈমুর হাসপাতালে ফর্ম ভরতে পারেনি বলেই তিনি বেশ কিছু ক্ষণ পরে সেই ফর্ম ভরে দেন।মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লিখিত রয়েছে সইফের চোটের কথাও। তাঁর হাতে, ঘাড়ে ও পিঠে চোট ছিল, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী। টানা দু'ঘণ্টার অস্ত্রোপচার হয়েছিল সেই দিন সইফের।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রশ্ন উঠছে, কে এই আফসর জ়ইদি? বলিউডের ব্যবসায়ী জগতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। হৃতিক রোশনের পোশাক বিপণন সংস্থার অর্ধেক মালিকানা তাঁর।