Tmc Leader Death

প্রায় ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর গলাকাটা দেহ, দাবি মেনে কুকুর এনে তদন্ত করাল পুলিশ

শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তৃণমূল কর্মী বটকৃষ্ণ পালের গলাকাটা দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। মৃতের ছেলে এবং গ্রামবাসীরা দাবি করেন, পুলিশের কুকুর এনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪৫
Share:

দাবি মেনে প্রায় ছ’ঘণ্টা পর, শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে কুকুর নিয়ে এসে পৌঁছয় পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।

চন্দ্রকোনায় নিজের বাড়িতেই গলাকাটা দেহ মেলে তৃণমূল কর্মীর। ছেলে এবং স্থানীয়রা দাবি করেন, কুকুর এনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করালে তবেই পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে যেতে পারবে। দাবি মেনে প্রায় ছ’ঘণ্টা পর, শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে কুকুর নিয়ে এসে পৌঁছয় পুলিশ। তল্লাশির পরে উদ্ধার করে মৃতদেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনই করা হয়েছে তৃণমূল কর্মীকে।

Advertisement

শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তৃণমূল কর্মী বটকৃষ্ণ পালের গলাকাটা দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। মৃতের ছেলে এবং গ্রামবাসীরা দাবি করেন, পুলিশের কুকুর এনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাতে হবে। পরে মৃতের ছেলে সিআইডি তদন্তের দাবি করেন। এ সব ঝামেলার জেরে দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যেই পড়ে ছিল দেহ। বিকেল নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বেশ কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করে। শেষে বিকেল প্রায় বিকেল ৫টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘‘দেহ যেমন মিলেছে, খুন বলেই মনে হচ্ছে। আপাতত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বাকি যা যা প্রক্রিয়া করা হবে।’’ মৃতদেহ উদ্ধার করতে এত দেরি হল কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা পুলিশ কুকুরের জন্য একটা দরখাস্ত দিয়েছিলাম, তা আসার পরেই দেহ উদ্ধার করলাম।’’

Advertisement

শনিবার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের পুড়শুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বটকৃষ্ণ পাল (৫৫)-এর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বটকৃষ্ণ বাস করতেন একটি মাটির বাড়িতে। সম্প্রতি তিনি একটি পাকা বাড়ি তৈরি করছিলেন। সেই বাড়িটি তাঁর পুরনো বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। শুক্রবার রাতে সেই পাকা বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। রাতে বটকৃষ্ণের সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল তাঁর ছেলে গোবিন্দপ্রসাদ পালের। শনিবার সকালে সেই পাকা বাড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।

স্থানীয় বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন, ‘‘উনি দলের পুরনো কর্মী। সমবায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। দলের কোনও পদে না থাকলেও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেন। মৃতদেহ দেখে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement