নন্দীগ্রামের মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের কর্মসূচিও রইল সন্দেশখালিময়। স্থানীয় বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালকে ৩৫৫ ধারা জারি করার সুপারিশ করলেন। জানিয়ে দিলেন, তা হলেই সব ‘টাইট’ হয়ে যাবে। পাল্টা শুভেন্দুকেই কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ বাংলায় বিক্ষিপ্ত গোলমাল পাকানোর জন্য দায়ী তো শুভেন্দুই!’’
রবিবার ছিল নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের কর্মসূচি। ভোরে কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। তার পর বিজেপি। বিজেপির সমাবেশে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমি রাজ্যপালকে বলব, রাজ্যের ৩০ থেকে ৪০টি থানাকে চিহ্নিত করে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করুন। তা হলেই সব টাইট হয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে শুভেন্দু যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন কলকাতায় রাজভবনের দিকে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফলে দলের রাজ্য সভাপতি যখন রাজভবন যাচ্ছেন, তখন নন্দীগ্রামের মাটি থেকে রাজ্যপালকে বিরোধী দলনেতার রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির সুপারিশের তাৎপর্য ভিন্ন বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে শুধু সন্দেশখালিই নয়, শুভেন্দু একাধিক ইস্যুতে বিঁধেছেন রাজ্য সরকারকে। পুলিশকে দলদাস হিসাবে বর্ণনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পুলিশরা তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে তাঁরা সদা তৎপর।’’ একই সঙ্গে রাজ্যপালকে ধন্যবাদও জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালের গত কালের (শনিবার) যে বিবৃতি, ‘শেখ শাহজাহান জঙ্গি, তাঁকে ধরা হোক।’ এই বিবৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি রাজ্যপাল মহোদয়কে এর জন্য ধন্যবাদ জানাব।”
শুভেন্দু রাজ্যকে নিশানা করলেও তার জবাব দিতে দেরি করেনি শাসকদল তৃণমূল। রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপিশাসিত মণিপুর-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে অশান্তি সীমা ছাড়াচ্ছে। শুভেন্দু বরং রাজ্যপালকে আগে সেই সব রাজ্যে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানান। বাংলা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানে বিজেপির প্ররোচনায় কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে। তার জন্য তো দায়ী শুভেন্দু। সিবিআইয়ের এফআইআরে যাঁর নাম আছে, তিনি যদি বলতে থাকেন, এর বাড়িতে ইডি যাবে, আর ওর বাড়িতে সিবিআই, তা হলে মানুষ তো খেপে যাবেনই। আমরা রাজ্যপালের কাছে আবেদন করছি যে, নারদ, সারদায় অভিযুক্ত, সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দুকে আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে গ্রেফতার করানোর দাবি দিল্লিতে তুলুন।’’