হাওড়ার ফেরিঘাটে তিলধারণের জায়গা নেই। — নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে সিপিএম। যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ‘ইনসাফ সমাবেশ’-এ লোক আসছেন বহু দূর দূর থেকে। সকাল সাড়ে দশটাতেই ভিড়ের যা বহর, তাতে ইতিবাচক বার্তাই যাচ্ছে বাম নেতৃত্বের কাছে।
ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই ব্রিগেডের আশপাশে ঠাঁই নিতে শুরু করেছিলেন সমর্থকেরা। অনেকেই ফাঁকা মাঠে কম্বল বিছিয়ে দিব্য ঘুমিয়েও নিয়েছেন। তবে আসল ভিড়ের শুরুটা হল সকাল ৮টা থেকে। হাওড়া স্টেশনে একটি করে ট্রেন এসে থামছে আর তা থেকে দলে দলে মানুষ নেমে চলেছেন ধর্মতলা মোড়ের দিকে। বেশির ভাগই হেঁটে রওনা দিচ্ছেন হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে। বহু মানুষকে দেখা গেল লঞ্চঘাটে ভিড় করতে। একটা সময় এমন অবস্থায় হয় যে, একের পর এক লঞ্চ হাওড়া ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়েছে যাতে বোঝাই শুধু বাম কর্মী-সমর্থকেরাই। লাল নিশানে সজ্জিত হয়ে একের পর এক লঞ্চ হাওড়া থেকে কলকাতার ঘাটে এসে ভিড়ছে। আর ক্রমশ ভিড় বাড়ছে রবিবারের গড়ের মাঠে।
শিয়ালদহ স্টেশনও ভিড়ে ভিড়াক্কার। মূলত উত্তরবঙ্গ থেকে মানুষজন আসছেন এই স্টেশন হয়ে। তার পর কেউ নিজেদের উদ্যোগে ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। অনেকেই আবার অপেক্ষা করছেন বড় মিছিলের অংশ হয়ে মাঠে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়াও শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়েও দেখা গেল একই দৃশ্য। বাসে করে বাম কর্মী-সমর্থকেরা আসছেন কলকাতায়। মূলত, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি এলাকার মানুষের দেখা মিলছে এই পথে।
বারুইপুর থেকে বাস ভাড়া করে ব্রিগেডমুখী বাম কর্মী-সমর্থকেরা। — নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকা থেকেও বহু মানুষ আসছেন ব্রিগেডে। মূলত, বারুইপুর এবং সোনারপুরে জড়ো হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকে দলে দলে বাম যুব সমর্থক এবং কর্মীরা ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। কেউ কেউ লোকাল ট্রেন ধরছেন। আবার অনেকেই বাস ভাড়া করে ব্রিগেডের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছেন।