মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যবাসীকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে কোভিড সংক্রমণের খবর আসছে। করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১ উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলিতে অনেক কোভিড রোগীর দেহে এই উপরূপের খোঁজ মিলেছে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই কোভিডের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। বলেন, ‘‘কোভিড নিয়ে আমাদের একটু সতর্ক হতে হবে। আমরা কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি করছি না। তবে যাঁরা পারবেন, মাস্ক পরুন। অনেকেই তো বাইরে থেকে আসেন। কে কোন রোগ নিয়ে আসছেন, আমরা তো জানি না। তাই যতটা সম্ভব সাবধানে থাকতে হবে।’’
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সাবধান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, বেসরকারি হাসপাতালের আইসিসিইউ ভাল করে পরিষ্কার করা দরকার। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। মমতা বলেন, ‘‘বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির আইসিসিইউ থেকে কোভিড ছড়াচ্ছে। আমি ওদের দোষ দেব না। এত রোগীর চাপ থাকে, ওরা হয়তো ভাল করে পরিষ্কার করার সুযোগ পায় না। সরকারি হাসপাতাল কিন্তু রোজ পরিষ্কার করা হয়। আমি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বলব, আইসিসিইউ পরিচ্ছন্ন রাখতে।’’
তবে এখনই করোনা ফিরে আসার সম্ভবনা দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আতঙ্কের কারণ নেই। আমেরিকা, স্পেনে সংক্রমণটা বাড়ছে। আমরা এই রোগে আমাদের অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি। হয়তো এখন মৃত্যুর হার কম। কিন্তু রোগটা খুব ছোঁয়াচে। তাই এখন থেকে সতর্ক হতে হবে।’’ বয়স্ক নাগরিক, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, বিশেষ করে তাঁদের মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি মরসুমে রাজ্যে বেশ কয়েক জন করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বয়স ৭০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে। করোনা নিয়ে সতর্ক হতে বলে রাজ্যগুলির কাছে কেন্দ্রীয় সরকারও বার্তা পাঠিয়েছে ইতিমধ্যেই। কেরল, গুজরাত, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা গত কয়েক দিনে বেড়েছে। অনেকের দেহে মিলেছে জেএন.১-এর উপস্থিতিও।