হাওড়া এবং বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে সই করেননি বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ বিষয়ে প্রকাশিত মিডিয়া রিপোর্ট খারিজ করে টুইটারে তিনি নিজেই শনিবার জানিয়েছেন সে কথা।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাওড়া ও বালি পুরসভায় ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তার বিষয়টি ওঠে। এর পর বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যপাল ওই বিলে সই করেন বলে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চকে জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যের সেই দাবি সরাসরি খারিজ করেছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে দাবি করেছিলেন, রাজ্যপাল তাঁকে বলেছেন, ওই বিলে তিনি সই করেননি।
শনিবার টুইটারে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে তিনি কিছু প্রশ্নের উত্তর চান তিনি। লিখেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনখড় হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু তা ঠিক নয়। এটি সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে বিবেচনাধীন রয়েছে। কারণ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কিছু প্রশ্নের জবাব প্রত্যাশিত।’
প্রসঙ্গত, এত দিন হাওড়া পুরসভার অধীনেই ছিল বালির এলাকা। বালি এলাকায় ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত নভেম্বর মাসে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয় হাওড়া ও বালি পুরসভাকে আলাদা করার ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল ২০২১’। বিল বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল এত দিন ওই বিলে সই না করায় কলকাতা ও হাওড়ায় একসঙ্গে পুরভোট করানো যায়নি বলেই শোনা গিয়েছে। ওই বিলে রাজ্যপাল সই করে থাকলে এ বার ভোট করাতে আর কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। তা হলে, বৃহস্পতিবার পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতে যা জানিয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট, হাওড়া পুরনিগমের ভোট হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। আর বালি পুরসভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে চলেছে।