Suvendu-Sukanta

নেতা বহিষ্কার নিয়ে রাজ্য বিজেপিতে মতান্তর? যদিও প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ কোনও পক্ষই

পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা সিন্টু সেনাপতিকে বহিষ্কার করা নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এ নিয়ে শুভেন্দুর নালিশ পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫১
Share:

দু’জনের কেউই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। ফাইল চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে রাজ্য বিজেপির উচ্চতম পর্যায়ে ‘মতান্তর’ তৈরি হয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, সে মতান্তরের কথা পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও। বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে সমস্ত পক্ষই ‘মতান্তর’-এর বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে। বস্তুত, এক পক্ষের দাবি, মতান্তর বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সে কথা পৌঁছনোর কোনও ঘটনাই ঘটেনি!

Advertisement

রাজ্য বিজেপির একাংশের আবার বক্তব্য, এক নেতাকে বহিষ্কার করা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। তাঁর নাম সিন্টু সেনাপতি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাশকুঁড়া পশ্চিম আসনে পদ্মের প্রার্থী হয়েছিলেন সিন্টু। তৃণমূলের ফিরোজা বিবির কাছে হেরে যান ন’হাজারের মতো ভোটে। পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির দীর্ঘ দিনের নেতা সিন্টু একটা সময়ে পুরভোটেও পদ্মের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। সেই সিন্টুকে সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কার করেছে রাজ্য বিজেপি।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিন্টুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠেরা। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। বিরোধী দলনেতা সাড়া দেননি। তবে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছেন, এর মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। এমন কোনও ঘটনা আদৌ ঘটেনি।

Advertisement

রাজ্য বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, অগস্ট মাসে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতির উপর হামলার প্রেক্ষিতেই সিন্টুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সময় মেচগ্রামে জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও কয়েক জন নেতার উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিন্টুর বিরুদ্ধে। বলা হয়, আগ্নেয়াস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন সিন্টু ও তাঁর অনুগামীরা। ওই অভিযোগ পাওয়ার পরে রাজ্য বিজেপি সিন্টু-সহ পাঁশকুড়ার সাত বিজেপি নেতাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়। জানা গিয়েছে, বাকিরা জবাব দিলেও সিন্টু চিঠির উত্তর দেননি। এর পরেই গত শনিবার সিন্টু ছাড়াও তাঁর ‘অনুগামী’ হিসাবে পরিচিত প্রতীক পাখিরা, কৌশিক জানা এবং উত্তম সেনাকে দল থেকে বহিষ্কার করে রাজ্য বিজেপি।

তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সিন্টু বুধবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমি কোনও চিঠি পাইনি। আর আমি কারও সঙ্গে যোগাযোগও রাখছি না।’’ যদিও বিজেপি শিবির সূত্রে দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তপ্রক্রিয়া শেষেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোবাইলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ডাকযোগেও সেই চিঠি পাঠানো হবে।

গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, সিন্টু একটা সময় বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। একটা সময়ে তৃণমূলের শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিন্টুকে লড়তে হলেও এখন একই দলে থাকায় দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement