১৫ বছর বয়সি কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার বাড়ি থেকে। —প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের বেতন দিতে না-পারায় ছাত্রীকে পর পর দু’দিন ক্লাসের বাইরে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার ঠিক পরেই ঘর থেকে উদ্ধার করা হল ১৫ বছরের ওই কিশোরীর দেহ। স্কুলে অপমানিত হয়েই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে, দাবি পরিবারের। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ অপমান বা হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গুজরাতের সুরাতের গোডাদরা থানা এলাকার ঘটনা। সেখানেই একটি স্কুলে পড়ত কিশোরী। তার বাবা জানিয়েছেন, স্কুলের আগের মাসের বেতন তিনি দিতে পারেননি। বিশেষ কারণে বেতন দিতে দেরি হচ্ছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েওছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে তিনি বেতন মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্কুলে তাঁর কন্যাকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর কন্যাকে পর পর দু’দিন শ্রেণিকক্ষের বাইরে বার করে দেওয়া হয়েছিল। দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল বারান্দায়। বাকি ছাত্র-ছাত্রীর সামনে বেতন দিতে না-পারায় তাকে বকাঝকাও করা হয়। এই মানসিক চাপ সে সহ্য করতে পারেনি। সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বলে অনুমান পরিবারের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা কখনওই কোনও পড়ুয়াকে বেতনের জন্য হেনস্থা করেন না। বরং কেউ বেতন দিতে না-পারলে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলা হয়। ওই ছাত্রীকেও হেনস্থা করা হয়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মা এবং দিদি বাড়িতে না-থাকাকালীন সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। গোডাদরা থানার ইনস্পেক্টর এইচএস আচার্য বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারের তরফে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, আমরা তা খতিয়ে দেখব। স্কুলে গিয়ে সহপাঠী, শিক্ষক এবং প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলব আমরা। তাকে সত্যিই বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল কি না, দেখা হবে।’’