সত্যম ভট্টাচার্য, শাশ্বতী সিংহের দাম্পত্যের এক বছর। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের এক বছর পরে প্রেম থাকে? অভিনেতা সত্যম ভট্টাচার্যের সংযোজন, “এর সঙ্গে কোর্টশিপের ১০ বছর জুড়ে দেবেন। হ্যাঁ, তার পরেও থাকে। আমাদের আছে।” প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে অভিনেতা এক দিনের কড়ারে ছুটি পেয়েছেন। তাজপুর বেড়াতে গিয়েছেন স্ত্রী শাশ্বতী সিংহকে নিয়ে। ঠাট্টাও করেছেন, “লোকে তো এখন ‘ভেকেশনে গিয়েছি’ বলে।” সেখান থেকেই আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে এই দাবি তাঁর। ঘড়ির কাঁটা আড়াইটের ঘরে তখন। স্ত্রীকে নিয়ে খেতে বসব বসব করছিলেন। কিছুতেই দুপুরের ভূরিভোজের তালিকা জানাবেন না! যুক্তি, স্ত্রীকে তা হলে কী করে চমকে দেবেন?
অনুরোধ, উপরোধের পর টেবিল ছেড়ে উঠে এসে জানালেন, তত ক্ষণে হাজির চিংড়ি, পমফ্রেট... “শাশ্বতী যা যা খেতে ভালবাসে সে সবই মেনুতে রাখার চেষ্টা করেছি।” অর্থাৎ, এখনও আপনাদের ‘হনিমুন পিরিয়ড’ চলছে? “দেখতে দেখতে বছর ঘুরে গেল, একে অন্যকে এখনও আবিষ্কার করেই চলেছি। এত তাড়াতাড়ি সেই নেশা ফিকে হয়!”, বললেন সত্যম। সেই জন্যই দীর্ঘ দিনের বান্ধবী স্ত্রী হলেও অভিনেতা এখনও তাঁকে চোখে হারান। এক বছরে বাজার করা শিখলেন? “এখনও করতে হয় না। বাড়ির ছোট ছেলে। মা-বাবার সঙ্গে থাকি তো।” তবে নিজের একটি সংসারের খুব শখ তাঁর। আগামী দিনে সেই শখ মিটলে তিনিও থলি হাতে বাজারে বেরোবেন।
সত্যম-শাশ্বতীর উদ্যাপন।
পরিবার পরিকল্পনা? সঙ্গে সঙ্গে হাঁ-হাঁ করে উঠেছেন, “এখনও নিজেরাই যোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে পারলাম না! আমাদের মধ্যে তৃতীয় জনকে নিয়ে আসব কী? আমাদের কোনও তাড়া নেই।” প্রণয় থেকে পরিণয়, মানে উথালপাথাল প্রেম পেরিয়ে সম্পর্ক থিতু। এখন কি আবার যৌবনবেলার মতো ইতিউতি চোখ যায়? আড়নজরে অন্য নারী দেখেন নাকি? ফোনের ও পারে হা হা হাসি। বললেন, “শাশ্বতী সুগৃহিণী। আমার মতো দামালকে এক বছরে শান্ত করেছে! যৌবনের সেই সত্যম আর নেই।” একটু থেমে যোগ করেছেন, তিনিও সেটাই চেয়েছিলেন। এমন কেউ আসবেন, যিনি শাসনে-সোহাগে আজীবন বেঁধে রাখবেন তাঁকে। শাশ্বতী সেটা পেরেছেন বলেই সত্যম ‘পত্নীনিষ্ঠ ভদ্রলোক’।