শুয়োরের মৃত্যুতে আতঙ্ক। — ফাইল চিত্র।
একের পর এক শুয়োরের মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল হুগলির চুঁচুড়ার সত্যপীরতলা এলাকায়। গত কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় ৪০টি শুয়োরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। মৃত্যুর কারণ ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
রোগের উপসর্গ হাঁফানো। তার জেরে একের পর এক শুয়োরের মৃত্যু ঘটেছে সত্যপীরতলা এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ শুয়োর পালন করেন। তাঁরাও কী কারণে এতগুলি শুয়োরের মৃত্যু হল তা নিয়ে নিশ্চিত নন। পুরসভার পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে ওই এলাকায়। মৃত শুয়োরগুলিকে ভাগাড়ে ফেলার ব্যবস্থাও করেছে পুরসভা। আর এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। সুধা ভুঁইয়া নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘মাসখানেক ধরে শুয়োর মারা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে অনেক শুয়োর মারা গিয়েছে। কেন মারা যাচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে থাকি খুব ভয় লাগছে।’’
গত এক মাসে প্রায় ৪০-৫০টি শুয়োর মারা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজকুমার রাজবংশী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কী কারণে এতগুলো শুয়োর মারা গিয়েছে তা আমরা বলতে পারব না। শুয়োর মারা গেলে কেউ দায়িত্বও নেয় না।’’ এলাকায় শুয়োর পালন বন্ধ করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য জয়দেব অধিকারীও মেনে নিয়েছেন শুয়োরের মৃত্যুর কথা। তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকায় কয়েকটি শুয়োর মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। পুরসভা থেকে এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল এলাকায় পাঠানো হবে। শুয়োর পালন করলে নিজেদেরই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থাকতে হয়। এটা বার বার বোঝানো সত্ত্বেও অনেকে সেটা শুনতে চাইছেন না। এলাকার বাসিন্দাদের বোঝানো হবে যাতে তাঁরা শুয়োর চাষ করা থেকে বিরত থাকেন।’’
শুয়োর মারা যাওয়ার খবর শুনেছেন হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘‘জেলার সহ-স্বাস্থ্য অধিকর্তার নেতৃত্বে একটি দল ওই এলাকায় পাঠাচ্ছি। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।’’