উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ নিহত তিন খলিস্তানি জঙ্গি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
উত্তরপ্রদেশে নিহত তিন খলিস্তানি জঙ্গির মাথা বসে আছেন পাকিস্তান এবং গ্রিসে। এমনকি, ব্রিটেন থেকেও তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল। ‘এনকাউন্টারের’ পর এমনটাই দাবি করল পঞ্জাব পুলিশ। পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, খলিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে বিদেশ যোগের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
সোমবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তাঁদের খলিস্তানি জঙ্গি বলে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পঞ্জাবের একাধিক থানা এবং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় তাঁদের যোগ ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। জখম অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশে ‘এনকাউন্টার’এ নিহত তিন জঙ্গির নাম গুরবিন্দর সিংহ, বীরেন্দ্র সিংহ এবং যশনপ্রীত সিংহ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। নিষিদ্ধ গোষ্ঠী খলিস্তান কম্যান্ডো ফোর্সের সদস্য তাঁরা। তিন জনই পঞ্জাবের গুরদাসপুরের বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল-সহ একাধিক পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পঞ্জাব পুলিশের ডিজি। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্জাবে আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা সাফল্য পেয়েছি। উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব পুলিশের যৌথ অভিযানে খলিস্তান জ়িন্দাবাদ ফোর্সের তিন সদস্য এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন পিলিভিটে। তাঁদের কাছ থেকে দু’টি একে-৪৭ এবং দু’টি অন্য পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। ওই তিন জন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন।’’
ডিজি আরও বলেন, ‘‘গুরদাসপুরের থানায় গ্রেনেড হামলার অভিযোগ রয়েছে তিন জনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, এই হামলাগুলি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন রণজিৎ সিংহ নিটা। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের প্রধান এবং পাকিস্তানে থাকেন। রণজিৎ মূলত যশবিন্দর সিংহ মনুর মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন বলে জানা গিয়েছে, তিনি গ্রিসে থাকেন।’’
ডিজি জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গি বীরেন্দ্রের গ্রামের লোক ছিলেন যশবিন্দর। পঞ্জাবের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার নেতৃত্ব দেন বীরেন্দ্রই। তাঁকে আবার জগজিৎ সিংহ নামের এক জন নির্দেশ দিচ্ছিলেন ব্রিটেন থেকে। এমনকি, কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, জগজিৎ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেন বলেও শোনা গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিদেশ যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ আন্তঃরাজ্য সহযোগিতার অন্যতম নিদর্শন এই এনকাউন্টার, মন্তব্য ডিজির।