ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি।
খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় এবং ঝাড়খণ্ডের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলীর বেঞ্চ বলে, কোনও ব্যক্তির উপর আক্রমণের অর্থ গোটা সম্প্রদায়ের উপর হামলা নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনস্বার্থ মামলায় নথিভুক্ত ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখা উচিত।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সরকারের তরফে খতিয়ে দেখা গিয়েছে যে সিংহভাগ ঘটনাই মিথ্যে। তিনি সওয়াল করেন, এই ধরনের আবেদনের উপর ভিত্তি করে আদালতের কোনও নির্দেশ দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, এমনটা হলে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যেতে পারে।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য দু’মাস সময় দিয়েছে। তার মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির থেকে রিপোর্ট জমা সংগ্রহ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তা জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত আগের রায়ে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। সেই নির্দেশ যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে কি না, কেবল তা নিয়েই চিন্তিত আদালত।
ন্যাশনাল সলিডারিটি ফোরামের রেভারেন্ড পিটার মাচাডো এবং ইভানজেলিক্যাল ফেলোশিপ অব ইন্ডিয়ার রেভারেন্ড বিজয়েশ লালের আবেদন ছিল দেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। বাদ যাচ্ছে না খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠানগুলোও। এই প্রেক্ষিতে আদালত রাজ্যগুলির তরফে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়।