হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর গড়পা সেতুতে থামল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। — নিজস্ব চিত্র।
গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলায় সরকারি সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর নির্মিত নতুন গড়পা সেতুর ভার্চুয়াল উদ্বোধন সারেন। সভা থেকে ফেরার পথে নতুন গড়পা সেতুর ওপর থমকে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।
নতুন সেতুর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পর তাতে এসে হাজির হন খোদ উদ্বোধক। পাঁচলার সরকারি কর্মসূচির মঞ্চ থেকে যে গড়পা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা সেরে কলকাতা ফেরার পথে তাতেই এসে থামল তাঁর গাড়ি। সেতুর উপর পূর্ত দফতরের সচিব অন্তরা আচার্যের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন শুনে দলে দলে লোক ভিড় করেন নবনির্মিত সেতুর দুই ধারে। তাঁদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান মমতা। বলেন, ‘‘আজ খুব ভাল লাগছে। এই সেতু হাওড়ার নতুন রূপ। আরও কাজ হবে।’’
পূর্ত দফতর এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাজেরও প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা বড় কাজ হল। এই সেতু নির্মাণের ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে।’’ তার পরেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের প্রধান সমস্যা হিসাবে পুরনো সাঁতরাগাছি ব্রিজের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিয়ত গাড়ির চাপে এই সেতুর উপর চাপ বাড়ছে। যানজট বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন সেতু তৈরি করা খুবই জরুরি। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘বিশ্বাস রাখুন, সব হবে।’’
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, পুরনো গড়পা সেতুর ওপর প্রতিদিন চাপ বাড়ছিল। তাই ২০১৮ সালে নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই মতো পূর্ত দফতর প্রায় ৪২ কোটি টাকা খরচ করে ৫০ মিটার লম্বা ও ১৩ মিটার চওড়া এই সেতু নির্মাণ করে। এ ছাড়াও দু’টি আন্ডারপাস তৈরি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সেতুটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হল। নতুন গড়পা সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।